ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষের অপরা সম্ভাবনা, বাড়ছে আগ্রহ কৃষকদের

সফিকুর রহমান, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার। তাই কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুব্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ হেক্টর জমিতে উপজেলায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুট উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুক‚লে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদপ্তর মনে করছে।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার বাবুটিপাড়া, পূর্বধইর পশ্চিম, আন্দিকোট, কামাল্লা, যাত্রাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩০ জন কৃষককে ২ কেজি করে বীজ আর ২০ কেজি করে সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড হাইসোন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা যায়।

বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদ নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম নুর আলম বলেন, সূর্যমুখীর চাষ খুবই সহজ এবং এর রোগবলাই অন্য ফসলের তুলনায় অনেক কম। সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ ছাড়ানোর পর মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন কৃষকরা। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, সূর্যমুখীর গুণাগুণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। এ অঞ্চলের মাটি সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে ভালো আগ্রহ দেখিয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় আমরা বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখীর আবাদ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষের অপরা সম্ভাবনা, বাড়ছে আগ্রহ কৃষকদের

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

সফিকুর রহমান, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার। তাই কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুব্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ হেক্টর জমিতে উপজেলায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুট উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুক‚লে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদপ্তর মনে করছে।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার বাবুটিপাড়া, পূর্বধইর পশ্চিম, আন্দিকোট, কামাল্লা, যাত্রাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩০ জন কৃষককে ২ কেজি করে বীজ আর ২০ কেজি করে সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড হাইসোন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা যায়।

বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদ নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম নুর আলম বলেন, সূর্যমুখীর চাষ খুবই সহজ এবং এর রোগবলাই অন্য ফসলের তুলনায় অনেক কম। সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ ছাড়ানোর পর মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন কৃষকরা। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, সূর্যমুখীর গুণাগুণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। এ অঞ্চলের মাটি সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে ভালো আগ্রহ দেখিয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় আমরা বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখীর আবাদ।