ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

কুমিল্লার মুরাদনগরে স্ত্রীকে বেধরক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী বশির মোল্লাকে আটকও করেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রগুরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটক বশির মোল্লা (২৯) ওই গ্রামের মৃত আলী মোল্লার ছেলে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার, প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বশির মোল্লা বিগত ৭ বছর পূর্বে উপজেলার পাক দেওড়া গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার মেয়ে রুমা আক্তারকে বিয়ে করে। অভাবের সংসার তাই প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার সকালেও বাচ্চার চিকিৎসার টাকা চাইলে রুমা আক্তারকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারালে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী বশির মোল্লাকে আটক এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। তাদের ১১ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহত রুমা আক্তারের ভাই কামাল হোসেন বলেন, বশির মোল্লা সংসার প্রতি নজর ছিল কম। সে বিভিন্ন দলের সাথে গিয়ে গান গাইত। সংসারের খরচ চাইলেই আমার বোনকে মারধর করতো। আজও ভাগিনা রবিউল ইলামের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বোনকে বেধরক পিটালে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা ডাক্তার দেখালে মৃত ঘোষণা করে। আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, নিহত রুমা আক্তারের কপালে ও মাথায় আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। তার ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত বশির মোল্লাকে আমরা কৌশলে গ্রেফতার করেছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরের পরমতলায় বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

আপডেট সময় ০৫:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

কুমিল্লার মুরাদনগরে স্ত্রীকে বেধরক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী বশির মোল্লাকে আটকও করেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রগুরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটক বশির মোল্লা (২৯) ওই গ্রামের মৃত আলী মোল্লার ছেলে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার, প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বশির মোল্লা বিগত ৭ বছর পূর্বে উপজেলার পাক দেওড়া গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার মেয়ে রুমা আক্তারকে বিয়ে করে। অভাবের সংসার তাই প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার সকালেও বাচ্চার চিকিৎসার টাকা চাইলে রুমা আক্তারকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারালে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী বশির মোল্লাকে আটক এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। তাদের ১১ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহত রুমা আক্তারের ভাই কামাল হোসেন বলেন, বশির মোল্লা সংসার প্রতি নজর ছিল কম। সে বিভিন্ন দলের সাথে গিয়ে গান গাইত। সংসারের খরচ চাইলেই আমার বোনকে মারধর করতো। আজও ভাগিনা রবিউল ইলামের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বোনকে বেধরক পিটালে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা ডাক্তার দেখালে মৃত ঘোষণা করে। আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, নিহত রুমা আক্তারের কপালে ও মাথায় আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। তার ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত বশির মোল্লাকে আমরা কৌশলে গ্রেফতার করেছি।