মো: মোশাররফ হোসেন মনির:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় প্রবাসী স্বামীকে ডাকাত সাজিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে মুরাদনগর-কালাডুমুর  সড়কের তালতলা নামক স্থানের ভাঙ্গা ব্রীজের পাশে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রবাসী বিল্লাল হোসেন(৪০) পাশ্বর্তী চান্দিনা উপজেলার তীরচর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি চার সন্তানের জনক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর পূর্বে আসাদনগর গ্রামের রীনার (৩০) সাথে বিয়ে হয়। সংসার জিবনে চার সন্তান জন্ম গ্রহন করে। প্রায় এক বছর পূর্বে স্বামী বিল্লাল জীবিকা র্নিবাহের জন্য মালদ্বীপ যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরলে বিল্লাল গত ২২ নভেম্বর বাড়িতে আসেন। এসে জানতে পারেন স্ত্রী তার ভায়রা আলমের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার তালতলা গ্রামের পাশর্^বর্তী দেবিদ্বার উপজেলার চাটলী গ্রামে বসবাস করে একটি জুট মিলে চাকুরী করছেন। পরে ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার ভায়রা আলমের বাড়ীতে স্ত্রী কাছে বেড়াতে আসেন বিল্লাল এবং পরদিন বুধবার রাতে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে স্বামী ঘর থেকে বেরহয়ে গেলে স্ত্রী ডাকাত বলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করে বিল্লালকে। পরে খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য কুমেকে প্রেরন করে।

এ বিষয়ে তীরচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নূরে আলম জানান, গত ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বিল্লাল মালদ্বীপ থেকে দেশে আসে। তার স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার বিষয়টি সে আমাকে বিদেশ থাকা কালে আমাকে বলেছিল।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মনজুর আলম বলেন, প্রবাসী বিল্লাল হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।