ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে স্বজনদের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধার ঠাঁই হলো হাসপাতালে!

মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় রাস্তায় ৩ দিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের সহায়তায় বিধবা আছিয়া বেগম(৭৫) বছরের বৃদ্ধার ঠাঁই হলো মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

রোববার কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সকের টনকি এলাকা থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন উপজেলার বাঙ্গরাপ বাজার থানার এসআই ফিরোজসহ একদল পুলিশ।

আছিয়া বেগম(৭৫) উপজেলার ধামঘর গ্রামের জামাল সরকার বাড়ীর মৃত্যু ছিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয়দের ধারণা বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরাই বৃহস্পতিবার রাতে টনকি রাস্তায় ফেলে যায়। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আছিয়া বেগমের ওয়ায়েজকরুনী, দিদার, জালাল, দুলাল ও হেলাল নামে ৫ ছেলে আছে। তারা কেউই মায়ের দায়িত্ব নিতে চান না। বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে টনকির রাস্তায় ফেলে যান। স্থানীয়রা তাকে মানসিক রোগী ভেবে শীত নিবারণের জন্য বস্ত্র ও খড়কুটা রেখে যান। সেখানে অর্ধাহারে-অনাহারে ৩ দিন পড়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রোববার বিকালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ফিরোজের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে স্বজনদের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধার ঠাঁই হলো হাসপাতালে!

আপডেট সময় ০৪:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০

মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় রাস্তায় ৩ দিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের সহায়তায় বিধবা আছিয়া বেগম(৭৫) বছরের বৃদ্ধার ঠাঁই হলো মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

রোববার কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সকের টনকি এলাকা থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন উপজেলার বাঙ্গরাপ বাজার থানার এসআই ফিরোজসহ একদল পুলিশ।

আছিয়া বেগম(৭৫) উপজেলার ধামঘর গ্রামের জামাল সরকার বাড়ীর মৃত্যু ছিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয়দের ধারণা বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরাই বৃহস্পতিবার রাতে টনকি রাস্তায় ফেলে যায়। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আছিয়া বেগমের ওয়ায়েজকরুনী, দিদার, জালাল, দুলাল ও হেলাল নামে ৫ ছেলে আছে। তারা কেউই মায়ের দায়িত্ব নিতে চান না। বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে টনকির রাস্তায় ফেলে যান। স্থানীয়রা তাকে মানসিক রোগী ভেবে শীত নিবারণের জন্য বস্ত্র ও খড়কুটা রেখে যান। সেখানে অর্ধাহারে-অনাহারে ৩ দিন পড়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রোববার বিকালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ফিরোজের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।