সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্মৃতিসৌধে জুতা পায়ে দিয়ে উঠে ফোটোসেশন করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী এক সদস্য পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পরলে
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে এলাকায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
অভিযোক্ত জসিম উদ্দিন (ওমানী জসিম) উপজেলার টনকী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্সে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে জসিম উদ্দিনের ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার। এতে উল্লাসিত হয়ে তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে দলবল নিয়ে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে ফটোসেশন করেন। পরে মুহূর্তের মধ্যেই জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন বলেন, আজকে উপজেলায় মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীরা উপজেলায় এসেছেন। অনেকেই স্মৃতিসৌধে দাড়িয়ে ছবি তুলেছেন। আসলে আমি বুঝতে পারিনি, জুতা পায়ে ছবি উঠানো আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর-রশিদ বলেন, জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উপরে উঠা এটা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদদের জন্য অপমান। যারা এ কাজগুলো করেছেন আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, আজকে উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরা এসেছেন, অনেক লোকজনের জমায়েত হয়েছে। কারা শহিদ মিনারে উঠেছে আমরা তা দেখি নাই। যারা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে ফটোসেশন করেছে তারা শাহিদদের অপমান করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করবো।