মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
যানবাহন চলাচলরত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ বা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্পিড ব্রেকার স্থাপনে সরকারের নির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও তা মানছে না কেউ। কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় সড়ক জনপথ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যত্রতত্র স্থাপন করা হচ্ছে স্পিড ব্রেকার। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে ডাকাতি।
সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে সেখানে দিতে হবে একটি স্পিড ব্রেকার। আর হাট-বাজার, দোকান থেকে শুরু করে চা দোকানের সামনে অবাধে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় বিভিন্ন মাহফিল ও মসজিদ নির্মাণের নামে পাকা সড়কের উপর ইট ও মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে গাড়ির পথরোধ করার চেষ্টা করছে অসচেতন মহল। রাতের অন্ধকারে ওইসব স্পিড ব্রেকার এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ঘটছে সড়ক ডাকাতি।
মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ প্রধান সড়কে অন্তত ৩৯টি স্পিড ব্রেকার রয়েছে। স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। সম্প্রতি ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে ঘটছে সড়ক ডাকাতি। ওই সড়কের বিভিন্ন টার্নিং এলাকা, দোকান, মসজিদ এমনকি ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে অযথা স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে। মুরাদনর-রাচন্দ্রপুর, মুরাদনগর -হোমনা, মুরাদনগর-নবীনগর সড়কসহ উপজেলার প্রধান ৮টি সড়কেও একই অবস্থা।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির জানান, আমাদের টেন্ডারে কোনো স্পিড ব্রেকার থাকে না। কাজ করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপেই ওইসব স্পিড ব্রেকার দিতে বাধ্য হন ঠিকাদাররা।
তিনি আরো জানান, সওজের সড়ক গুলোতে ড্রাম্প্রিক অনুমতি ক্রমে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে তবে স্পিড ব্রেকারের দেওয়ার কোন নিয়ম নেই।