ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে হকার সেঁজে হত্যা মামলার আসামী ধরলেন পুলিশ

মো: সুমন সরকারঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে সাইদুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফুল মিয়াকে হকার সেঁজে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত বছর ২৭ জুন জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার শ্রীকাইল গ্রামের সাইদুর রহমান কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় নিহতের ভাই মোবারক হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে এঘটনায় জড়িত ১২ জনের নামে মামলা করে ভূক্তভোগী পরিবার। হত্যাকান্ডের পর আত্মগোপন করে আসামীরা।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরা বাজার থানার চৌকস এসআই নুরুল আলম দুইদিন এনজিও কর্মী সেঁজে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানা এলাকায় অবস্থান করেন। এসময় অল্পের জন্য পালিয়ে যায় একাধিক ডাকাতি ও খুনের প্রধান এ আসামী ফুলমিয়া । এরপর গতকাল শুক্রবার সিলেট থেকে খবর পান আসামী কুমিল্লা সদর দক্ষিণে অবস্থান করছেন। অপেক্ষা না করে সঙ্গীয় ফোর্সকে নিয়ে এসআই নুরুল আলম রউনা হন কুমিল্লায়। ২৬শে এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় অভিযানে নামেন পুলিশ। হাল ছাড়তে নারাজ এই সাহসী ও দক্ষ অফিসার লেবাস বদল করে ধরেন হকারের সাঁজ। হকার সেজে সহোযোগি ফোর্স নিয়ে সক্ষম হন খুনিকে গ্রেফতার করতে।

বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে । সে দির্ঘদিন পলাতক ছিলো তাকে গ্রেফতার করতে বিগত সময়ে পুলিশ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। সর্বশেষ হবিগঞ্জ জেলায় অভিযান পরিচালনা  করে। বারবার সিম পরিবর্তন করার কারনে তার ব্যবহৃত মোবাইলের আইমি নাম্বার থেকে ট্রেক করে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে হকার সেঁজে হত্যা মামলার আসামী ধরলেন পুলিশ

আপডেট সময় ১১:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯
মো: সুমন সরকারঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে সাইদুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফুল মিয়াকে হকার সেঁজে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত বছর ২৭ জুন জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার শ্রীকাইল গ্রামের সাইদুর রহমান কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় নিহতের ভাই মোবারক হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে এঘটনায় জড়িত ১২ জনের নামে মামলা করে ভূক্তভোগী পরিবার। হত্যাকান্ডের পর আত্মগোপন করে আসামীরা।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরা বাজার থানার চৌকস এসআই নুরুল আলম দুইদিন এনজিও কর্মী সেঁজে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানা এলাকায় অবস্থান করেন। এসময় অল্পের জন্য পালিয়ে যায় একাধিক ডাকাতি ও খুনের প্রধান এ আসামী ফুলমিয়া । এরপর গতকাল শুক্রবার সিলেট থেকে খবর পান আসামী কুমিল্লা সদর দক্ষিণে অবস্থান করছেন। অপেক্ষা না করে সঙ্গীয় ফোর্সকে নিয়ে এসআই নুরুল আলম রউনা হন কুমিল্লায়। ২৬শে এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় অভিযানে নামেন পুলিশ। হাল ছাড়তে নারাজ এই সাহসী ও দক্ষ অফিসার লেবাস বদল করে ধরেন হকারের সাঁজ। হকার সেজে সহোযোগি ফোর্স নিয়ে সক্ষম হন খুনিকে গ্রেফতার করতে।

বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে । সে দির্ঘদিন পলাতক ছিলো তাকে গ্রেফতার করতে বিগত সময়ে পুলিশ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। সর্বশেষ হবিগঞ্জ জেলায় অভিযান পরিচালনা  করে। বারবার সিম পরিবর্তন করার কারনে তার ব্যবহৃত মোবাইলের আইমি নাম্বার থেকে ট্রেক করে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।