মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
বর্তমান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মোট জনসংখ্যার শতভাগ প্রাইমারী শিক্ষা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে কাজ করলেও সেদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো। উপজেলায় ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬টিতে দীর্ঘদিন ধরে ১০৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে স্কুলে লেখাপড়ার মান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯৫ জন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী শিক্ষক। এর মধ্যে উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ৪৬টি বিদ্যালয়ের ১০৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকসংকটে থাকা বিদ্যালয়গুলোর কোনো শিক্ষক (নারী-পুরুষ) যখন অসুস্থ হন কিংবা মাতৃত্বকালীন বা অন্য কোনো কারণে ছুটিতে থাকেন তখন দায়িত্বরতদের পাঠদানে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় একজন শিক্ষককে একটানা চার-পাঁচটি ক্লাসে পাঠদান করতে হয়, অথবা কখনো কোনো একটি শ্রেণির পাঠদান বন্ধ থাকে। গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারন ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি কাজ বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্য আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।