ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ১৮ হাজার মানুষ নিরক্ষরতা মুক্ত হবে

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার নিরক্ষরদের লেখাপড়ার জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ৩০০টি শিক্ষা কেন্দ্র। একটি বেসরকারী সংস্থা বার্ডো এ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলছে। সেখানে ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৮হাজার নিরক্ষর মানুষকে ছয় মাস ধরে লেখাপড়া শেখানো হবে।

শনিবার বিকালে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরো পরিচালক যুগ্মসচিব আনোয়ারা বেগম উপজেলায় নিক্ষর জরিপ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, ১৪ থেকে ৪৫ বছর বষসী নারী-পুরুষদের মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এ প্রকল্প গ্রহন করে। দেশের ২৫০টি উপজেলার ৭৫হাজার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুরে ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে লেখাপড়া শেখানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৩৭টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ কাজে সাত কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে।

নির্বাহী পরিচালক (বার্ডো) ডা: আব্দুস সেলিম বলেন, নিরক্ষরদের পাশাপাশি অক্ষর চেনেন কিন্তু শব্দ ও বাক্য গঠন করতে অক্ষম ব্যক্তিদের সেসব কেন্দ্রে লেখা পড়া শেখানো হবে। ‘চেতনা’ নামের একটি বই পাঠদানের মধ্য দিয়ে লিখতে-পড়তে ও হিসাব নিকাশ করতে শিখবেন নিরক্ষর নারী-পুরুষরা। সেই সঙ্গে পরিচিত হবেন তথ্যপ্রযুক্তির সাঙ্গে। পাশাপাশি অর্জন করবেন বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা। এখান থেকে লেখাপড়া শেখার পর দেশ-বিদেশের শ্রমবাজরে কাজের উপযোগী করে গড়ে তুরতে তাদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

উপজেলা সমন্বয়কারী কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সুত্র ধর বলেন, প্রতিটি গ্রামে একটি করে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত করা হবে,যেখানে দুটি শিফটে ৬০জন করে নারী-পুরুষ পৃথক ভাবে লেখা-পড়া শিখবেন। এভাবেই এই উপজেলা থেকে ১৮ হাজার নারী-পুরুষ নিরক্ষরতামুক্ত হবে হবেন বলে তিনি দাবি করছেন। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্রালয়ের পাশাপাশি ঘরভাড়া নিয়ে এসব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বর্তমানে এ উপজেলায় নিক্ষর জরিপ কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে।

কুমিল্লা সহকারী পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষদিকে শিক্ষাকেন্দ্রগুলোয় পাঠদান শুরু হবে। এ কর্যক্রম পরিচালনার জন্য বার্ডো নামের একটি বেসরকারী সংস্থা মনোনীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৪ থেকে ৪৫ বছর বষসী নারী-পুরুষদের মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এ প্রকল্প গ্রহন করে। দেশের ২৫০টি উপজেলার ৭৫হাজার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুরে ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে লেখাপড়া শেখানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৩৭টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে ১৮ হাজার মানুষ নিরক্ষরতা মুক্ত হবে

আপডেট সময় ০২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার নিরক্ষরদের লেখাপড়ার জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ৩০০টি শিক্ষা কেন্দ্র। একটি বেসরকারী সংস্থা বার্ডো এ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলছে। সেখানে ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৮হাজার নিরক্ষর মানুষকে ছয় মাস ধরে লেখাপড়া শেখানো হবে।

শনিবার বিকালে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরো পরিচালক যুগ্মসচিব আনোয়ারা বেগম উপজেলায় নিক্ষর জরিপ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, ১৪ থেকে ৪৫ বছর বষসী নারী-পুরুষদের মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এ প্রকল্প গ্রহন করে। দেশের ২৫০টি উপজেলার ৭৫হাজার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুরে ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে লেখাপড়া শেখানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৩৭টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ কাজে সাত কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে।

নির্বাহী পরিচালক (বার্ডো) ডা: আব্দুস সেলিম বলেন, নিরক্ষরদের পাশাপাশি অক্ষর চেনেন কিন্তু শব্দ ও বাক্য গঠন করতে অক্ষম ব্যক্তিদের সেসব কেন্দ্রে লেখা পড়া শেখানো হবে। ‘চেতনা’ নামের একটি বই পাঠদানের মধ্য দিয়ে লিখতে-পড়তে ও হিসাব নিকাশ করতে শিখবেন নিরক্ষর নারী-পুরুষরা। সেই সঙ্গে পরিচিত হবেন তথ্যপ্রযুক্তির সাঙ্গে। পাশাপাশি অর্জন করবেন বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা। এখান থেকে লেখাপড়া শেখার পর দেশ-বিদেশের শ্রমবাজরে কাজের উপযোগী করে গড়ে তুরতে তাদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

উপজেলা সমন্বয়কারী কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সুত্র ধর বলেন, প্রতিটি গ্রামে একটি করে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত করা হবে,যেখানে দুটি শিফটে ৬০জন করে নারী-পুরুষ পৃথক ভাবে লেখা-পড়া শিখবেন। এভাবেই এই উপজেলা থেকে ১৮ হাজার নারী-পুরুষ নিরক্ষরতামুক্ত হবে হবেন বলে তিনি দাবি করছেন। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্রালয়ের পাশাপাশি ঘরভাড়া নিয়ে এসব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বর্তমানে এ উপজেলায় নিক্ষর জরিপ কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে।

কুমিল্লা সহকারী পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষদিকে শিক্ষাকেন্দ্রগুলোয় পাঠদান শুরু হবে। এ কর্যক্রম পরিচালনার জন্য বার্ডো নামের একটি বেসরকারী সংস্থা মনোনীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৪ থেকে ৪৫ বছর বষসী নারী-পুরুষদের মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এ প্রকল্প গ্রহন করে। দেশের ২৫০টি উপজেলার ৭৫হাজার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুরে ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে লেখাপড়া শেখানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৩৭টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।