ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ২৯ বছর পর হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণায়

মো: মোশাররফ হোসেনেঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২৯টি বছর পেরিয়ে নেতাকর্মীদের মনে মাধুরীর মতামত ব্যাক্ত করার মধ্যদিয়ে হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ৩টি প্যানেলে ৩৯টি পদের জন্য ৭৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ২০৪ টি বিদ্যালয়ের ১২২৫জন ভোটার শিক্ষকদের মাঝে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।এরই মধ্যে প্রতিটি স্কুল, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে পোস্টার লাগিয়ে ও শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারণায় কোন প্রার্থীই পিছিয়ে না থাকলেও ভোটের মাঠে ৩ নাম্বর বেলট (রেবেকা-জাকির) এগিয়ে আছে বলে সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়। সকাল, দিন ও রাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। অন্য কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলেও সাধারন শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালি করার লক্ষে নেতৃত্ব গঠনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলো। নানা কারণে শিক্ষকদের সংগঠনটি ২৯ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়া চলে আসছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় ও বিভিাগীয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএর সর সহযোগিতায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালের নির্বাচন হওয়ার পর ২৯টি বছর পেরিয়ে গেলেও এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রার্থীরা প্রচারণা করতে পারবেন ৩০শে ডিসেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শে ডিসেম্বর।

ভোটের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ৩ নাম্বর ব্যালট (রেবেকা-জাকির) প্যানেলেন সভাপতি প্রার্থী রেবেকা শুলতানা বলেন, ভোটের যুদ্ধে আমরা (রেবেকা-জাকির) প্যানেল বিপুর ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ্। তিনি ১নাম্বার ব্যালট (কাউছার- বজলুর) প্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরো বলেন, সভাপতি প্রার্থী কাউছার ভূইয়ার স্কুল থেকে ৮ জন শিক্ষক বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার ফলে নির্বাচনের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ঠিক তেমনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানে। কেননা ৮জন শিক্ষক প্রচারণায় বেড়িয়ে গেলে ওই বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীকে পাঠদান করার মতো শিক্ষক থাকে না।
২নং ব্যালটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। জয়ের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।

১ নং ব্যালটের (কাউসার ও বজলু) প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কাউসার ভূইয়া বলেন, একাধিক প্রার্থী একই বিদ্যালয় থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এ নিয়ে সমালোচনার কিছুই নেই। জয়ের ব্যাপারে মাঠে ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রর্থীর মাঝে ভীতি কাজ করছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মুরাদনগরে ২৯ বছর পর হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণায়

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

মো: মোশাররফ হোসেনেঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২৯টি বছর পেরিয়ে নেতাকর্মীদের মনে মাধুরীর মতামত ব্যাক্ত করার মধ্যদিয়ে হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ৩টি প্যানেলে ৩৯টি পদের জন্য ৭৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ২০৪ টি বিদ্যালয়ের ১২২৫জন ভোটার শিক্ষকদের মাঝে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।এরই মধ্যে প্রতিটি স্কুল, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে পোস্টার লাগিয়ে ও শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারণায় কোন প্রার্থীই পিছিয়ে না থাকলেও ভোটের মাঠে ৩ নাম্বর বেলট (রেবেকা-জাকির) এগিয়ে আছে বলে সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়। সকাল, দিন ও রাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। অন্য কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলেও সাধারন শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালি করার লক্ষে নেতৃত্ব গঠনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলো। নানা কারণে শিক্ষকদের সংগঠনটি ২৯ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়া চলে আসছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় ও বিভিাগীয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএর সর সহযোগিতায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালের নির্বাচন হওয়ার পর ২৯টি বছর পেরিয়ে গেলেও এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রার্থীরা প্রচারণা করতে পারবেন ৩০শে ডিসেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শে ডিসেম্বর।

ভোটের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ৩ নাম্বর ব্যালট (রেবেকা-জাকির) প্যানেলেন সভাপতি প্রার্থী রেবেকা শুলতানা বলেন, ভোটের যুদ্ধে আমরা (রেবেকা-জাকির) প্যানেল বিপুর ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ্। তিনি ১নাম্বার ব্যালট (কাউছার- বজলুর) প্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরো বলেন, সভাপতি প্রার্থী কাউছার ভূইয়ার স্কুল থেকে ৮ জন শিক্ষক বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার ফলে নির্বাচনের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ঠিক তেমনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানে। কেননা ৮জন শিক্ষক প্রচারণায় বেড়িয়ে গেলে ওই বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীকে পাঠদান করার মতো শিক্ষক থাকে না।
২নং ব্যালটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। জয়ের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।

১ নং ব্যালটের (কাউসার ও বজলু) প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কাউসার ভূইয়া বলেন, একাধিক প্রার্থী একই বিদ্যালয় থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এ নিয়ে সমালোচনার কিছুই নেই। জয়ের ব্যাপারে মাঠে ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রর্থীর মাঝে ভীতি কাজ করছে।