মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলো অবকাঠামোগত সমস্যাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে। এসব কারনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির লাখ লাখ মানুষ সেবা নিতে গিয়ে উল্টো দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সরকার কতৃক এসব ক্লিনিক গুলোতে ২৮ প্রকার ওষধ প্রধান ও সপ্তাহে ৬দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও কোথাও এ চিত্র পাওয়া যাচ্ছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন গুলোর ভিতরে সেঁতসেঁতে অবস্থা, কোন ক্লিনিকে নেই বিদুৎতের সংযোগ। শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযুগী ও নলকূপ অকেজো। আবার চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। কোথাও কোথাও সাধারন মানুষ এটুকু সেবা পেয়েও সন্তুষ্ঠ। কিন্তু ক্লিনিকগুলোতে শৌচাগার ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে রোগীদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬-২০০১ ততকালিন সরকারের সময় স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকলল্পের আওতায় প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে সিএইচসি ভবন নির্মান করে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। মাঝখানে ৭সাত বছর এ প্রকল্পটি বন্ধ থাকায় ভবনগওলো অব্যবহৃত অবস্থায পড়েছিল। আবার ২০০৯ সালে ঐ ভবনগুলোর ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে প্রাথমিক স্বাস্থ সেবা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে (সিএইচসি) নিয়োগ দেয় সরকার। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলায় ৫৬টি। এর মধ্যে চালু আছে ৪০টি। অনেক গুলোতে সিএইচএম ও ভবন না থাকায় কাযক্রম বন্ধ রয়েছে।
তেমনি ভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলো অবস্থা খারাপ। ওষুধ সংকট, বিদ্যুৎ না থাকা ও নাজুক ভবনের কারনে পুরোপুরি সেভা পাচ্ছেনা সাধারন দরিদ্র মানুষরা।
চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা আক্তার বলেন, এ ক্লিনিকগ্ররোর কারনে আমাদের মাইলের পরম মাইল দৌরে হাসপাতালে যেতে হয়না। তবে এখানে বসার জায়গা, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ সংকট থাকায় আমাদের বেগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের সিএইচএম সুমন বলেন, বর্ষাকালে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। এবং বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। আলমারী ভাংগা থাকায় ওষুধ ও খাতাপত্র রাখা যাচ্ছেনা। এ বিষয়ে কতৃপক্ষের কাছে একাদিক বার লিখিত ভাবে পত্র পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহের বলেন, অচিরেই ক্লিনিক গুলোর সমস্যগুলো চিহ্নিত করে স্বাস্থ অধিদফতরে লিখিত ভাকে আবেদন করা হবে।