মো: হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২নং আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে পূন: নির্বাচনের দাবিতে সাংবাদিক সন্মেলন করেছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শিমুল বিল্লাল (আনারস)।
মঙ্গলবার বিকেলে পীর কাশীমপুর নিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সন্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। ৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রের ৪টিতে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনী ফলাফলে ব্যাপক অসঙ্গতি দেখা দেয়।
ওই ৪ কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে পূন: নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শিমুল বিল্লাল ২৯ জুন মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করেন (যার নং ৮৩৯৬/২০১৬)। বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদ কেন্দ্রগুলোর ফলাফল স্থগিত করে কেন পূন: নির্বাচন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলনিশী জারি করেন। এ বিষয়ে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য এলজিইডি মন্ত্রনায়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাবুল আহম্মেদ মোল্লাকে নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক সন্মেলনে শিমুল বিল্লাল বলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বাবুল আহম্মেদ মোল্লার (নৌকা) লোকজনেরা ভোট কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে ৪টি ভোট কেন্দ্রে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে মাত্র ১৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরিকল্পিত ভাবে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে হয়। ওই ভোট কেন্দ্র থেকে আনারস প্রতিকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোট গননা করা হয়। মেটংঘর ও পান্ডুঘর ভোট কেন্দ্রে ২৩৫ জন ভোটার প্রবাসে ও অনেকে মৃত থাকার পরও প্রায় শতভাগ ভোট কাষ্ট দেখানো হয়েছে। পীর কাশীমপুর হাইস্কুল ও পীর কাশীমপুর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রায় ২ ঘন্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখলেও পরবর্তীতে ভোট গ্রহন শুরু হলে আনারস প্রতিকের ১৪৩৩টি ভোট উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বাতিল করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। বিষয়টির ব্যাপারে নিবাচনের দিনই রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতর এবং ৭ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন দফতরে নিকট লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ফল হয়নি।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। হাইকোর্টের কোন নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।