শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ
কুমিল্লার উপজেলা সদরের মুরাদনগর বাজার থেকে কেউ কিনছেন কলা আর কেউ তরমুজ। রিক্সাওয়ালারা ডাকছেন ভাই কই যাইবেন। পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের ডাকছেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকরাও। অপর দিকে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের চিত্র আরো ভয়াবহ। লোক সমাগম দেখে মনে হচ্ছে আগামী দিন বড় কোন উৎসব তাই সবাই বাজারে আসছে। সামাজিক দূরত্ব কমানোর উদ্দেশ্য জনসমাগম বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরেই বেড়েছে সাধারণ মানুষের পদচারণা।
বিভিন্ন এলাকায় খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, শহর থেকে লোকজন গ্রামে আসায় আগের তুলনায় লোক সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গ্রামের হোটেল গুলোতে চলছে আড্ডা ও জমজমাট ব্যবসা। উপজেলার রামচন্দ্রপুর, নাগেরকান্দি তিতাস, ধনীরামপুর, দিলালপুর, মোচাগড়া, যাত্রাপুর, করিমপুর, বিষ্ণুপুর, আলীরচর, ধনপতিখোলা, চাপিতলা, কৃষ্ণপুর, বাঁশকাইট, পঁাচপুকুরিয়া, চাপিতলা, বাইড়া, শুশুন্ডা, দারোরা, কাজিয়াতল, জাহাপুর, পঁাচকিত্তা, বড় পিপুরিয়া, চন্দনাইল, শ্রীকাইল, কোরবানপুর, আন্দিকুট, হায়দরাবাদ, গাঙেরকুট, মহেশপুর, ধনপতিখোলা, কুড়াখাল, ব্রাহ্মনচাপিতলা, ঘোড়াশাল, কামারচর, চন্দনাইল, কামাল্লা, কালিপুরাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারে লোক সমাগম আগের চেয়ে অনেক বেশী। ঐসব অধিকাংশ বাজারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায়ই বাজারগুলো সকাল বিকাল জমজমাট থাকে। চা দোকান ও হোটেলগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভির। প্রশাসনের লোকজন আসছে এমন খবর আসলে মুহুর্তেই দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। তারা চলে এলে সেই আগের মতোই লোক সমাগম। মেইন রাস্তার পাশের অনেক দোকান পাঠ এক সাটার খুলে দিব্বি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঘরে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী পেঁৗছে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সচেতন ও জরিমানা করছি। প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে হবে।