ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর করোনার প্রভাব, দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

এন এ মুরাদ, মুরাদনগর:

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাজারে নিত্য পণ্য্যের সংকট হতে পারে এমন গুজবে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

ক্রেতারা বলেন, করোনার কারনে দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় আমরা প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, পেঁয়াজ ,চিনি ,লবন, তেল, কিনে রাখছি। ক্রেতা বেশি হওয়ায় অধিকাংশ দোকানে চাল ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাবসায়ীরা। তারপরও বেশী করে নিয়ে যাচ্ছি যদি আরো বাড়ে তাই!

জানা যায়, বাজার নিয়ন্ত্রনে বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল আলম ও মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ আহম্মদসহ একটি প্রশাসনিক টিম কোম্পানীগঞ্জ বাজারে আসেন। বেশী দামে চাল বিক্রি করায় দুটি দোকানকে জরিমানা করা হয়। মনিটরিং টিম যতক্ষন বাজারে ছিলেন ততক্ষন পেয়াজ ৪০টাকা কেজি বিক্রি করা হয়, বাজার ত্যাগের সাথে সাথে পেয়াজ ৫৫-৬০টাকা হয়ে যায়।

বাজারের ব্যাবসায়ী দয়াল সাহা জানান ইউএনও স্যার বাহির হওয়ার পরপরই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় এবং ক্রেতারা দাম দিয়েই ৫,১০,২০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেছে।

খুচরা ব্যাবসায়ী হবি মিয়া বলেন, ক্রেতারা চায় বেশি তাই বেশি বিক্রি করি। দুই কেজি বা তিন কেজির বেশী বিক্রি করা যাবেনা প্রশাসনের নির্দেশনা তারপরও আপনি কেন বেশি বিক্রি করেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এই কাজটা ভূল হয়ে গেছে।

এব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অভিষেক দাস বলেন, বেশী মূল্যে পেঁয়াজ ও চাল বিক্রি করার কারনে বৃহষ্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একজন চাল ব্যাবসায়ীকে ১০ ও একজন পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীকে সাত হাজার টাকা জরিমানা হয়। এবং করোনার সুযোগ নিয়ে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অধিক মূল্যে বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

মুরাদনগর করোনার প্রভাব, দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

এন এ মুরাদ, মুরাদনগর:

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাজারে নিত্য পণ্য্যের সংকট হতে পারে এমন গুজবে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

ক্রেতারা বলেন, করোনার কারনে দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় আমরা প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, পেঁয়াজ ,চিনি ,লবন, তেল, কিনে রাখছি। ক্রেতা বেশি হওয়ায় অধিকাংশ দোকানে চাল ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাবসায়ীরা। তারপরও বেশী করে নিয়ে যাচ্ছি যদি আরো বাড়ে তাই!

জানা যায়, বাজার নিয়ন্ত্রনে বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল আলম ও মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ আহম্মদসহ একটি প্রশাসনিক টিম কোম্পানীগঞ্জ বাজারে আসেন। বেশী দামে চাল বিক্রি করায় দুটি দোকানকে জরিমানা করা হয়। মনিটরিং টিম যতক্ষন বাজারে ছিলেন ততক্ষন পেয়াজ ৪০টাকা কেজি বিক্রি করা হয়, বাজার ত্যাগের সাথে সাথে পেয়াজ ৫৫-৬০টাকা হয়ে যায়।

বাজারের ব্যাবসায়ী দয়াল সাহা জানান ইউএনও স্যার বাহির হওয়ার পরপরই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় এবং ক্রেতারা দাম দিয়েই ৫,১০,২০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেছে।

খুচরা ব্যাবসায়ী হবি মিয়া বলেন, ক্রেতারা চায় বেশি তাই বেশি বিক্রি করি। দুই কেজি বা তিন কেজির বেশী বিক্রি করা যাবেনা প্রশাসনের নির্দেশনা তারপরও আপনি কেন বেশি বিক্রি করেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এই কাজটা ভূল হয়ে গেছে।

এব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অভিষেক দাস বলেন, বেশী মূল্যে পেঁয়াজ ও চাল বিক্রি করার কারনে বৃহষ্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একজন চাল ব্যাবসায়ীকে ১০ ও একজন পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীকে সাত হাজার টাকা জরিমানা হয়। এবং করোনার সুযোগ নিয়ে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অধিক মূল্যে বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।