ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূত-জ্বীনের আতঙ্ক

মো. শরিফুল আলম চৌধুরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভূত-জ্বীনের আতঙ্ক কোনভাবে কাটছেনা।

বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আরো প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়েছে। পাশের উপজেলার বকরীকান্দি গ্রামের এক কবিারজকে দিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে চলছে কথিত জ্বীন- ভূত তাড়ানোর অভিনব চিকিতসা। স্কুল ক্যাম্পাসের নতুন আলোচিত ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার দাবি কিছু অভিভাবকের।

গত বছর থেকে শুরু হয় গোটা এলাকায় বড় ধরনের আতঙ্ক। পাশাপাশি গল্পগুজবের স্কুল ভবনের পাশের গাছপালার ডালপালা বিস্তৃত হতে থাকে। স্কুলে ভূত-জ্বীনের গল্পের কারণে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শিক্ষক, উপজেলা ও শিক্ষা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ ভূত-জ্বীনের কোন প্রভাব নেই এমন উদ্যোগ নেয়ায় ফের স্কুলটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছেন বলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় স্কুল ক্যাম্পাসের একটি কক্ষে কবিরাজ দ্বারা জ্বীন তাড়ানোর চিকিতসা চলছে। এ সময় প্রশাসন ও সাংবাদিক আসছে এমন সংবাদে অনেক অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অবস্থা অনেকটা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক শিক্ষক ও একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আলী নূর বশির জানান, ডাক্তারী ভাষায় এটা (সধংং ঢ়ংুপড়মবহরপ রষষহবংং) রোগ। একজনের দেখাদেখি এটা অন্যের হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানালেন এই চিকিৎসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিতু মরিয়ম সাংবদিকদের জানান, ভূত-প্রেত কিংবা জ্বীনের প্রভাব হচ্ছে অপপ্রচার। তিনি আরো জানান, ওই স্কুলের জন্য প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে একজন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূত-জ্বীনের আতঙ্ক

আপডেট সময় ০১:১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
মো. শরিফুল আলম চৌধুরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল রহিম রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভূত-জ্বীনের আতঙ্ক কোনভাবে কাটছেনা।

বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আরো প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়েছে। পাশের উপজেলার বকরীকান্দি গ্রামের এক কবিারজকে দিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে চলছে কথিত জ্বীন- ভূত তাড়ানোর অভিনব চিকিতসা। স্কুল ক্যাম্পাসের নতুন আলোচিত ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার দাবি কিছু অভিভাবকের।

গত বছর থেকে শুরু হয় গোটা এলাকায় বড় ধরনের আতঙ্ক। পাশাপাশি গল্পগুজবের স্কুল ভবনের পাশের গাছপালার ডালপালা বিস্তৃত হতে থাকে। স্কুলে ভূত-জ্বীনের গল্পের কারণে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শিক্ষক, উপজেলা ও শিক্ষা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ ভূত-জ্বীনের কোন প্রভাব নেই এমন উদ্যোগ নেয়ায় ফের স্কুলটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছেন বলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় স্কুল ক্যাম্পাসের একটি কক্ষে কবিরাজ দ্বারা জ্বীন তাড়ানোর চিকিতসা চলছে। এ সময় প্রশাসন ও সাংবাদিক আসছে এমন সংবাদে অনেক অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অবস্থা অনেকটা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক শিক্ষক ও একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আলী নূর বশির জানান, ডাক্তারী ভাষায় এটা (সধংং ঢ়ংুপড়মবহরপ রষষহবংং) রোগ। একজনের দেখাদেখি এটা অন্যের হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানালেন এই চিকিৎসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিতু মরিয়ম সাংবদিকদের জানান, ভূত-প্রেত কিংবা জ্বীনের প্রভাব হচ্ছে অপপ্রচার। তিনি আরো জানান, ওই স্কুলের জন্য প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে একজন মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করবো।