ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর গাইটুলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরার্জীণ অবস্থায় চলে পাঠদান

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের গাইটুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন পাকা ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা।

জানা যায়, গাইটুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ২০০১ সালে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে নির্মিত একটি টিনের ঘর। বর্তমানে সেই ঘরটি জরার্জীণ অবস্থা। ব্যবহারে অযোগ্য এ ঘরটি একটু বৃষ্টি হলে গরিয়ে পড়ে পানি। ঘরটির চারদিনে মাটি না থাকায় নেই কোন প্রকার নিরার্পত্তা। যে যখন খুশি বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করতে নেই কোন বাধা। কয়েকটি খুটির উপর টিকে আছে বিদ্যালয়টি। যে কোন সময় ধসে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে স্কুলে প্রায় প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থী অনুসারে সাতজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছেন মাত্র চারজন। এরপর নেই প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়টি অনেক দিন থেকে চলছে প্রধান শিক্ষক বিহিন। ঐ ঘরটিতে যেখানে ২টি কক্ষ হওয়ার কথা সেখানে ১টি অফিস রোম ৩টি শ্রেনী কক্ষ করে গাধা-গাধি ভাবে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার কাযক্রম। বেঞ্চের অভাবে শিশুরা দাঁড়িয়ে ও মেঝেতে বসে ক্লাস করে। ভবনটির চারদিকে মাটি না থাকায় গরু, ছাগল, কুকুরের প্রবেশে তৈরী হওয়া নোংড়া পরিবেশ, টয়লেট ও পানির সংকটসহ পাঠদানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় । এসব নানান সমস্যায় ঝুঁকি নিয়ে  চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাযক্রম।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা বেগম জানান, অনেকবার নতুন ভবনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনো আশ্বাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ২০০১ সালে স্থাপিত এ স্কুলের শিক্ষার্থী প্রায় তিনশ’ আর শিক্ষক চারজন। তিনকক্ষ বিশিষ্ট ভবনটিতে ক্লাস নেয়া মানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া শিশুদের। ফলে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি পূর্ন ঘড়টির নিচে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির সময় শিশুদের পাঠিয়ে দেয়া হয় বাড়িতে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম জানান, নতুন ভবনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে চাওয়া হয়েছে। কতৃপক্ষ্য এই অর্থ বছরের মধ্যে নতুন ভবন দেওয়ার আস্বাশ দিয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগর গাইটুলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরার্জীণ অবস্থায় চলে পাঠদান

আপডেট সময় ১২:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের গাইটুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন পাকা ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত বিদ্যালয়টি। যা দেখার যেন কেহ নেই। শ্রেনী কক্ষ সংকটটি হচ্ছে স্কুলটির প্রধান সমস্যা।

জানা যায়, গাইটুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ২০০১ সালে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে নির্মিত একটি টিনের ঘর। বর্তমানে সেই ঘরটি জরার্জীণ অবস্থা। ব্যবহারে অযোগ্য এ ঘরটি একটু বৃষ্টি হলে গরিয়ে পড়ে পানি। ঘরটির চারদিনে মাটি না থাকায় নেই কোন প্রকার নিরার্পত্তা। যে যখন খুশি বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করতে নেই কোন বাধা। কয়েকটি খুটির উপর টিকে আছে বিদ্যালয়টি। যে কোন সময় ধসে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে স্কুলে প্রায় প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থী অনুসারে সাতজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছেন মাত্র চারজন। এরপর নেই প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়টি অনেক দিন থেকে চলছে প্রধান শিক্ষক বিহিন। ঐ ঘরটিতে যেখানে ২টি কক্ষ হওয়ার কথা সেখানে ১টি অফিস রোম ৩টি শ্রেনী কক্ষ করে গাধা-গাধি ভাবে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার কাযক্রম। বেঞ্চের অভাবে শিশুরা দাঁড়িয়ে ও মেঝেতে বসে ক্লাস করে। ভবনটির চারদিকে মাটি না থাকায় গরু, ছাগল, কুকুরের প্রবেশে তৈরী হওয়া নোংড়া পরিবেশ, টয়লেট ও পানির সংকটসহ পাঠদানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় । এসব নানান সমস্যায় ঝুঁকি নিয়ে  চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাযক্রম।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা বেগম জানান, অনেকবার নতুন ভবনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনো আশ্বাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ২০০১ সালে স্থাপিত এ স্কুলের শিক্ষার্থী প্রায় তিনশ’ আর শিক্ষক চারজন। তিনকক্ষ বিশিষ্ট ভবনটিতে ক্লাস নেয়া মানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া শিশুদের। ফলে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি পূর্ন ঘড়টির নিচে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির সময় শিশুদের পাঠিয়ে দেয়া হয় বাড়িতে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম জানান, নতুন ভবনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে চাওয়া হয়েছে। কতৃপক্ষ্য এই অর্থ বছরের মধ্যে নতুন ভবন দেওয়ার আস্বাশ দিয়েছেন।