আবুল কালাম আজাদঃ
অসময়ের গুড়ি গুড়ি বৃস্টিতে ইটভাটার মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে। তিন দিনের টান বৃস্টিতে গলে নস্ট হয়ে হয়েছে অন্তত সাড়ে আট কোটি কাঁচা ইট। ইট তৈরি ও সরবরাহ না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে ভাটার আগুন। দুই সপ্তাহে কর্মহীন হয়ে পরবে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ৪২টি ভাটায় কর্মরত অন্তত দশ হাজার শ্রমিক।
ইটভাটার মালিক শাহআলম সরকার, কবির হোসেন সরকার, বোরহান উদ্দিন, আবুল খায়ের, বাচ্চু মিয়া, জসিম উদ্দিন,জানু মিয়া, লুৎফুর রহমান, কাজী আঃ বাতেন, ইদ্রীস হাজি, বাহাদুর, মামুনুর রশিদ, তুহিন মিয়া,বকুল ও নজরুল ইসলামসহ আরো অনেকে দাবি, বৃস্টিতে কাটা ইটের সঙ্গে নস্ট হয়ে গেছে খলিয়ান। নস্ট হওয়া ইটের খলিয়ানগুলো পরিস্কারসহ আবার কাজের উপযোগী করতে হবে। একাজের জন্য অন্তত দই সপ্তাহ সময় লাগবে। নিয়োগ করতে হবে অতিরিক্ত শ্রমিক।
বঙ্গোপসাগরে সৃস্টি নিন্ম চাপের প্রভাবে এ অঞ্চল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃস্টি হয়। এ বৃস্টিও কারণে খলিয়ানে থাকা কাঁচা ইটের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেননি ভাটার মলিকরা। এতে গলে নস্ট হয়ে গেছে কাঁচা ইট। নস্ট হয়ে গেছে ইট কাটা খলিয়ান, মাত্র মৌসুমে শুরু হওয়ায় কোন ভাটায় শুকনো ইট মজুদ নেই। একারনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভাটার আগুন।
খলিয়ানে নস্ট হয়েছে প্রতিটি ইটভাটায় ১২ থেকে ১৩ লাখ কাচা ইট। নস্ট হওয়া ইট সরিয়ে খলিয়ান পরিস্কার করতে হবে। -এরপর খলিয়ান শুকিয়ে ব্লেড মেরে ইটকাটার উপযোগি পরিবেশ তৈরী করতে হবে। এজন্য সময় লাগবে অন্তত দুই সপ্তাহ।
ভাটায় কর্মরত ইট ঢোলাই কাজের সর্দা মিজানুর রহমান জানান, তার নেতৃত্বে ৭০জন শ্রমিক ভাটায় ইট ঢোলায়ের কাজ করেন। এসব শ্রমিক ভাটার মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করছেন। দুই সপ্তাহ ভাটা বন্ধ থাকলে তারা কর্মহীন হয়ে পরবেন। পরিবারের সদস্যদের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে বলে তারা জানান।
বাংলাদেশ ইটভাটা মালিক সমিতি’র কুমিল্লা জেলা সহ-সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ কাইয়ূম ভূইয়া জানান, সমিতির আওতায় কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় ৪২টি ইটভাটা রয়েছে। হঠাৎ বৃস্টিতে এসব ভাটায় বিপুল পরিমান কাচা ইট নষ্ট হওয়ায় অন্তত সাড়ে আট কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মালিকরা। এছাড়া ভাটাগুলোতে কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত অন্তত দশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। একাজের আয় দিয়ে বছরের ছয় মাস সংসারের ব্যায় বহন করে থাকেন শ্রমিকরা। অসময়ের বৃস্টিত মালিক, শ্রমিক ও গ্রাহকরা ক্ষতির মুখে পরছেন বলে তারা দাবি করেন।