মাহবুব আলম আরিফ , বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জনসাধারনকে হয়রানি মুক্ত সেবা দিতে ও পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষে দিনব্যাপী ডিউটি অফিসার হিসেবে কাজ করলেন মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান। জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারের ব্যাতিক্রমি এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হয়ে ওঠে জনসাধারনদের মাঝে ।
রবিবার দিনব্যাপী উপজেলার মুরাদনগর থানায় এএসপিকে ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি থানায় আগত সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগের কথা মনোযোগ সহকারে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
থানায় সেবা নিতে আসা মন্টু মিয়া বলেন, টাকা পায়সা নিয়ে পারিবারিক ভাবে ঝামেলা চলছিলো তাই বিষয়টি সুরাহার জন্য অভিযোগ নিয়ে থানায় আসি। এসে দেখি বড় স্যার বসে আছে! আমি ভাবলাম পরে আসি, তখন স্যার আমাদেরকে ডেকে বললেন কি সমস্যা চাচা মিয়া। ভয়ে ভয়ে বললাম স্যার একটা অভিযোগ নিয়ে এসেছি। তখন তিনি অভিযোগটি মনোযোগ সহকারে পরেন। তার কিছুক্ষণ পরেই আরেক জন স্যারকে ডেকে বললেন চাচা মিয়া যে সমস্যা নিয়ে এখানে এসেছে। তা সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আমি স্যারের ব্যবহারে খুব খুশি আল্লায় স্যারেরে নেক হায়াত দেক।
এছাড়াও থানায় সেবা নিতে আসা অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এমন ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ এর আগে আমরা দেখিনি। আমাদের মতো সাধরণ মানুষের জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ। স্যার এই কর্যক্রম যেন চালু রাখেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, স্যার আগে থেকেই থানায় সেবা নিতে আসা কাউকে যেন কোন প্রকার ভোগান্তি পোহাতে না হয় সে জন্য মনিটরিং করতেন। আজ রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্যার থানায় ডিউটি অফিসারের ভূমিকায় ছিলেন। পাশাপাশি থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের সাথে কি ধরনে ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে জন্য আমাদের সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
একজন পুলিশ সুপার হয়ে ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালনের কারণ জানতে চাইলে মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, কোন মানুষ যখন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থানায় আসে। তখন সে প্রথমে তার অভিযোগ ডিউটি অফিসারের কাছে জানায়। এখান থেকে সে যেমন সেবা পায়, পুলিশের উপর তার ধারনাটা ঠিক তেমনি তৈরী হয়। তাই জনসাধারনকে হয়রানি মুক্ত আইনি সেবা দিতে ও তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষে আমার এই উদ্যোগ। যতদিন আমি আছি ততদিন পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম মুরাদনগর থানা, বাঙ্গরা বাজার থানা ও তিতাস থানায় অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি থানায় এসে কাঙ্খিত সেবা না পান বা কোন ধরনের হয়রানি শিকার হন। তাহলে সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন আমি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।