হাফেজ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাগাতুয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। অপরদিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আহত হয়েছে ১৫ জন।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দফায় দফায় দুই গ্রুপেরন মধ্যে সংর্ঘষ চলে।
সরাকার বাড়ীর সহিদ সরকার বলেন, টোহানী সরকার বাড়ীর মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে নবী মিয়া গত কয়েক মাস পূর্বে দোকান থেকে একটি ভিসিডি চুরি করে, এরা চোরের বিচার না করে উল্টা চোরের পক্ষ নিয়েছে, এর পর জিলানী সরকারের দোকানসহ মার্কেটে আগুন লাগিয়ে প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এর সূত্রেই আমাদের উপর এরা কয়েক দফা হামলা করে।
টোহানী সরাকার বাড়ীর মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, আমরা নবী মিয়ার চুরির বিচার করেছি, আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতের বা অন্য কোন কারনে হতে পারে, তারা মিথ্যা মামলায় আমাদের হয়রানি করছে। বৃহঃবার সকালে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে এবং মাইকিং করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
বৃহঃবার বিকালে জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে জিলানী সরকার বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, এ মামলায় ৮ জন আটক হয়েছে এবং বৃহঃবার রাতে আবুল বাসারের স্ত্রী নারগিছ বেগম ও ২৮ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এ মামলায় ৪ জন আটক হয়েছে।
বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে জনগনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে তাদের স্বজনরা জানািয়েছেন।
এ ব্যপারে ওয়ার্ড মেম্বার খলিলুর রহমান বলেন আমি দু গ্রুপ কে থামানোর চেষ্টা করেছি এবং ঘটনার পরে ও মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
এ ব্যপারে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংর্ঘষের ঘটনায় ২ টি মামলা হয়েছে। ১২ জনকে আটক করে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা জৈল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। কোটে চালান করেছি এবং বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে, আমার থানা এলাকায় কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে রেহাই পাবেনা।