মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ব্যাক্তি অর্থায়নে কালর্ভাট নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ড্রেন নির্মাণ করায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোটাল মুরাদনগর বার্তায় “মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ” এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে কালভার্ট নির্মানকাজ ও খালটি পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: কাবিরুল ইসলাম খাঁন। এসময় তিনি এ খালটি নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সাথে কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভ‚ইয়া জনী, উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলম চৌধুরি, মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী তুফরীজ এটন, কানুনগো মো: সেলিম, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম আরিফ, সার্ভেয়ার মো: শরিফ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভ‚ইয়া জনী বলেন, মন্দিরে যাতায়াত ও ওই এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে বক্স-ড্রেন নির্মানের বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: কাবিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, অনলাইন নিউজ পোটাল মুরাদনগর বার্তায় প্রকাশিত সংবাদটি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। খাল দখল করে বক্স-ড্রেন নির্মানের কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খালটি পরিদর্শন করেছি। শিগ্রই এ খালের দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি খনন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা সদরের গোলকশাহর বাড়ীর পাশে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের মুরাদনগর মৌজার ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খালের চারি দিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছিলেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যাক্তি।