মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে:
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার ছেলে সিদ্ধ বুট বিক্রি করে সংসার চালানো প্রতিবন্ধী রাজীব চন্দ্র সাহার পাশে দাঁড়ালেন তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার। গত ২৩ জানুয়ারী মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমে “তিতাস ভিক্ষা নয় কাজ করে জীবনকে জয় করতে চান প্রতিবন্ধী রাজীব” এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রাশিত হয়। এতে বিষয়টি নজরে আসে তিতাস উপজেলা প্রশাসনের।
এরই জেরে রাজীবকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড, সরকারি ভাবে ঘড় নির্মাণ ও সমাজ সেবা থেকে ঋণদানের ব্যবস্থা করার জন্য সমাজ সেবা অফিসারকে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ পাঁচ হাজার টাকাও দেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদে রাজীবের সহপরিবারকে ডেকে এনে এই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও।
প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়ে রাজিবের পরিবার সদস্যদের চোখে মুখে হাসিঁ ফোটে উঠে। সাথে সাথে আল্লাহর কাছে দু-হাত তুলে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো এই রাজীব। সে প্রতিবন্ধী হয়েও এই বয়সে ভিক্ষা না করে পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছিলেন। রাজীবের মতো মানুষদের জন্য আমরা সব সময় এগিয়ে আসার চেষ্টা করে থাকি। তাই আপাতত তার এক প্রতিবন্ধী ছেলের ভাতা বাকি থাকা একটি ভাতা কার্ড ও ব্যবসা চালানোর জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তার জন্য ভাল কিছু করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, রাজীব ভিক্ষা না করেই জীবনকে জয় করার জন্য বাবার মৃত্যুর পর শারীরিক অক্ষমতা উপেক্ষা করে অন্যের দয়ার উপর নির্ভর না করে গত ১৫বছর ধরে সিদ্ধ বুট বিক্রি করে দুই ছেলে, এক বোন, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয়জনের সংসার চালাচ্ছেন। এবং সে একা নয়, এক বোন ও এক ছেলেও প্রতিবন্ধী।