মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
সড়ক সংস্কারের নামে প্রায় পাচঁ মাস আগে তোলা হয়েছে সড়কের পিচ। এতে সড়ক জুড়ে বেরিয়েছে ইটের সুরকি আর পাথর। সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে একাকার হয়ে আছে। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুরাদনগর ও বাঞ্চারামপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে। মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের চিত্র এটি। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ৫টি আঞ্চলিক সড়কেরই অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়ক।
কুমিল্লার নাজমুল হাছান পাখির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাছান বির্ল্ডাস। পরে তিনি দেলোয়ার হোসেন নামে এক সাব ঠিকাদারের কাছে কাজটি হস্তান্তর করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত মার্চ মাসের শুরুতে কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করে সড়কটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সৃষ্ট বড় বড় গর্ত পূরণ না করেই মুরাদনগর সদর অংশে সড়কের বেশ কিছু জায়গায় পিচ তুলে ফেলা হয়। এরপর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আর কোনো খোঁজ নেই। এতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। পরে গত ঈদুল আযহার পূর্বেও দিন রাতে পিচ ওঠানো অংশটুকু পিচ দেওয়া হয়। এরপর থেকে আর খোজঁনেই। গত প্রায় ১৮ বছরে ওই সড়কে ছোট বড় শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী ছোট বড় অনেক যানবাহন। তাছাড়া ছোট পাথরে সহজেই নষ্ট হচ্ছে গাড়ির টায়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কিছু অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত কওে থাকে। আবার তাদের উৎপাদিত ধান, চালসহ চলনবিলে উতৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে জান। তাছাড়া সিএনজি চালিত অটো-টেম্পু, নছিমন, করিমনসহ ভারী যানবাহনও চলাচল করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, ৮কি.মি সড়কের সংস্কার ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩কোটি টাকা। ১৬ জানুয়ারী হতে ১বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গড়িমসিতে প্রায় দশ মাসে সড়কের ৫শতাংশ কাজও হয়নি।
এদিকে এ ব্যাপারে সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্তাধিকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, এ সড়কটির দেড় কি:মি: সড়ক কাজে সংযুক্ত থাকায় এ ব্যায় ধরা হয়েছে তা দিয়ে সম্ভব নয়। তাই তার ব্যয় খরচ বাড়ানোর হলে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মো: সাইফুদ্দিন সড়কটির করুণ দশার কথা স্বীকার করে জানান, সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য চাওয়া হয়েছে তা দুই বছর পর তা অনুমদন হয়েছে। দুই বছর আগের সড়কের অবস্থা আর বর্তমানের অবস্থা অনেক পরির্বতন হয়েগেছে আর আগের বাজার মূল্যের চেয়ে এখন বাজার মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এই সড়কটির জন্য যে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে বর্তমানে করা সম্ভবনয় তাই ব্যয় খরচ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখনতা অনুমদন হয়েগেছে। আশাকরি অল্প কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।