ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল শিল্পীকে অশ্রদ্ধা করে কাভার গেয়ে কোনোদিন শিল্পী হওয়া যায় না

বিনোদন ডেস্ক:

নতুনভাবে সেজেছে ব্যান্ডদল আর্ক। নতুন লাইনআপে আগামী স্টেজ শোগুলোর ডেটও চূড়ান্ত হচ্ছে। তবে নতুন গান কবে আসবে হাসানের এমন প্রশ্ন এখন সকলের। এই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাই বা কী। সব মিলিয়ে কথা বলেছেন তানভীর তারেক- এর সঙ্গে-

কেমন আছেন? সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শো করে এলেন। জীবনে এই যে কতশত জায়গায় শো করলেন, কেমন লাগে এখন?

সত্যি বলতে কী, প্রতিবারই সব কনসার্টেই নতুন লাগে। যদিও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম যাওয়া। আমাদের শো শুরু হয় রাত ১০টায়। চলে মাঝরাত পর্যন্ত। আয়োজকেরা জানালেন গত প্রায় ২০ বছর পর রাতে সেখানে কোনো কনসার্ট হলো।

আপনার সবচেয়ে বেশিবার গাওয়া গান কোনটি?

অবশ্যই ‘সুইটি’।

জীবনে কতজন সুইটি নামের মেয়ে আপনার কাছে এসে ধন্যবাদ জানিয়েছে?

হা হা হা, অগণিত। আমার মনে হয় দেশের অধিকাংশ সুইটিই এসে বলেছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাকে ভেবে গান করেছেন। আমিও তাদের ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করেছি। আসলে এটা তো প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা একটি নাম। আমরা কিন্তু প্রেমিকাকেও আদর করে সুইটিই ডাকি। তাই সব মিলিয়ে এটি একটি মিথে পরিণত হয়েছে। খুব মনে পড়ছে গানটি রিলিজের পর সবার মুখে মুখে চলে এলো। এ গানটি প্রথম স্টেজে গাইলাম ঢাকা কলেজ মাঠে। ট্রাকে ট্রাকে ছেলেরা এলো। বয়েজ কলেজ। কিন্তু পরে কোত্থেকে কয়েকশ’ মেয়ে ঢুকে গেল। সম্ভবত ওরা ইডেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। হট্টগোল হওয়ার ভয়ে কনসার্ট বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তখন কলেজের নেতারা বললো হাসান ভাই, আপনিই পারেন এদের কন্ট্রোল করতে। আমি শুধু বললাম, কোনোরকম হৈ চৈ হলে আমি ‘সুইটি’ গাইবো না। সবাই শান্ত হয়ে গেল। সমস্বরে সুইটি গাইলো ছেলেমেয়েরা সবাই। ঢাকা কলেজের ইতিহাসে এমন ছেলেমেয়ের একসঙ্গে দর্শক সেই প্রথম।

এখন কাভার সং করার ক্ষেত্রে অসম্মানের বিষয় চোখে পড়ে। সম্প্রতি ব্যান্ডতারকা খালিদ ভাইকে অসম্মান করে কথা বলা নিয়ে তার পরিবারও আপত্তি জানিয়েছে। আপনার গানও অনেকে কাভার করেন। এই শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন?

আমি মনে করি শ্রদ্ধাটা চোখ-মুখে থাকতে হয়। তাই ভেতর থেকে শ্রদ্ধা এনেই কারো গান কাভার করা উচিত। মূল শিল্পীকে অশ্রদ্ধা করে কাভার গেয়ে কোনোদিন শিল্পী হওয়া যায় না। আমি যেমন আজো মাইকেল জ্যাকশনের কোনো গান বা তার নাম উচ্চারণ করলেও গলা কাঁপে। আনমনে শ্রদ্ধাটা মন থেকেই চলে আসে।

নতুন স্টেজ বা গানের খবর বলুন—

খুব শিগগিরই নতুন গান পাবেন। আর আমরা নতুন লাইনআপে ওয়ার্ল্ড ট্যুরের প্ল্যান করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মূল শিল্পীকে অশ্রদ্ধা করে কাভার গেয়ে কোনোদিন শিল্পী হওয়া যায় না

আপডেট সময় ০২:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯
বিনোদন ডেস্ক:

নতুনভাবে সেজেছে ব্যান্ডদল আর্ক। নতুন লাইনআপে আগামী স্টেজ শোগুলোর ডেটও চূড়ান্ত হচ্ছে। তবে নতুন গান কবে আসবে হাসানের এমন প্রশ্ন এখন সকলের। এই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাই বা কী। সব মিলিয়ে কথা বলেছেন তানভীর তারেক- এর সঙ্গে-

কেমন আছেন? সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শো করে এলেন। জীবনে এই যে কতশত জায়গায় শো করলেন, কেমন লাগে এখন?

সত্যি বলতে কী, প্রতিবারই সব কনসার্টেই নতুন লাগে। যদিও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম যাওয়া। আমাদের শো শুরু হয় রাত ১০টায়। চলে মাঝরাত পর্যন্ত। আয়োজকেরা জানালেন গত প্রায় ২০ বছর পর রাতে সেখানে কোনো কনসার্ট হলো।

আপনার সবচেয়ে বেশিবার গাওয়া গান কোনটি?

অবশ্যই ‘সুইটি’।

জীবনে কতজন সুইটি নামের মেয়ে আপনার কাছে এসে ধন্যবাদ জানিয়েছে?

হা হা হা, অগণিত। আমার মনে হয় দেশের অধিকাংশ সুইটিই এসে বলেছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাকে ভেবে গান করেছেন। আমিও তাদের ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করেছি। আসলে এটা তো প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা একটি নাম। আমরা কিন্তু প্রেমিকাকেও আদর করে সুইটিই ডাকি। তাই সব মিলিয়ে এটি একটি মিথে পরিণত হয়েছে। খুব মনে পড়ছে গানটি রিলিজের পর সবার মুখে মুখে চলে এলো। এ গানটি প্রথম স্টেজে গাইলাম ঢাকা কলেজ মাঠে। ট্রাকে ট্রাকে ছেলেরা এলো। বয়েজ কলেজ। কিন্তু পরে কোত্থেকে কয়েকশ’ মেয়ে ঢুকে গেল। সম্ভবত ওরা ইডেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। হট্টগোল হওয়ার ভয়ে কনসার্ট বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তখন কলেজের নেতারা বললো হাসান ভাই, আপনিই পারেন এদের কন্ট্রোল করতে। আমি শুধু বললাম, কোনোরকম হৈ চৈ হলে আমি ‘সুইটি’ গাইবো না। সবাই শান্ত হয়ে গেল। সমস্বরে সুইটি গাইলো ছেলেমেয়েরা সবাই। ঢাকা কলেজের ইতিহাসে এমন ছেলেমেয়ের একসঙ্গে দর্শক সেই প্রথম।

এখন কাভার সং করার ক্ষেত্রে অসম্মানের বিষয় চোখে পড়ে। সম্প্রতি ব্যান্ডতারকা খালিদ ভাইকে অসম্মান করে কথা বলা নিয়ে তার পরিবারও আপত্তি জানিয়েছে। আপনার গানও অনেকে কাভার করেন। এই শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন?

আমি মনে করি শ্রদ্ধাটা চোখ-মুখে থাকতে হয়। তাই ভেতর থেকে শ্রদ্ধা এনেই কারো গান কাভার করা উচিত। মূল শিল্পীকে অশ্রদ্ধা করে কাভার গেয়ে কোনোদিন শিল্পী হওয়া যায় না। আমি যেমন আজো মাইকেল জ্যাকশনের কোনো গান বা তার নাম উচ্চারণ করলেও গলা কাঁপে। আনমনে শ্রদ্ধাটা মন থেকেই চলে আসে।

নতুন স্টেজ বা গানের খবর বলুন—

খুব শিগগিরই নতুন গান পাবেন। আর আমরা নতুন লাইনআপে ওয়ার্ল্ড ট্যুরের প্ল্যান করছি।