মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক : 
মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মেঘনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নাজমা বেগম (৬০) নামের এক মহিলা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩ জন।
নিহত নাজমা বেগম ভাওরখোলা গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে আহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা থানাধীন ভাওরখোলা গ্রামে ফারুক আব্বাসি ও আঃ সালাম গ্রুপের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার রায়পুরা থেকে দেলোয়ার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এঘটনায় হোমনা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে মেঘনা অফিসার ইনচার্জ ফোর্স নিয়ে রাতে ভাওরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী এবং তার ভাই খোকন আব্বাসী, ইমরান হোসেন টিটু, ইয়ার আব্বাসীদের বাড়িতে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কান্তা- বাশ ছাড়া ৬৭ টি.বড় ছোড়া ৯ টি,ছোট ছোড়া ৭ টি,ধামা ৪ টি, চায়না চাপাতি ৬ টি,কুড়াল ২ টি, বাশ সহ কান্তা ১০৬ টি. টেটা ১২ টি,রড-০২টি রয়েছে।
মেঘনা থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, এলাকার আধিপত্য নিয়ে আ’লীগ নেতা আঃ সালাম ও সিরাজ গ্রুপের সাথে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী ও লিটন আব্বাসি গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।
শুক্রবার রাতে আ: সালাম সস্ত্রীক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে আব্বাসি গ্রুপের লোকজ আঃ সালাম ও সিরাজ গ্রুপের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আঃ সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম (৬০) নিহত হন ও আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হন। নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
(হোমনা-মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহাম্মদ পিপিএম (বার) এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করি। হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান।
