স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙলে তা রোগীর জন্য বিপদের কারণ হয়। কেননা মেরুদন্ডের ভেতরে থাকে স্পাইনাল কর্ড, যা যেকোনো সময় ক্ষতবিক্ষত হতে পারে। যদি স্পাইনাল কর্ড বা স্নায়ুরজ্জু আক্রান্ত হয়, তাহলে রোগীর শরীরের নিম্নভাগ অসাড় হয়ে যায়। তাই মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে সর্বাধিক সতর্কতার সাথে প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে হবে। রোগীর মেরুদন্ড ভেঙ্গেছে সন্দেহ হলে কী করবেন-
lশোয়ানো অবস্থাতেই পরীক্ষা করতে হবে তার হাতের আঙ্গুল, কজি, হাঁটু বা পায়ের পাতা নাড়াতে পারছে কি না। যদি নাড়াতে পারে বুঝতে হবে রোগীর অবস্থা কম ঝুঁকিপূর্ণ, আর মোটেই নাড়াতে না পারলে বুঝতে হবে তার অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
lরোগীকে শোয়ানোর সময় এমনভাবে শোয়াতে হবে যে ভঙ্গিতে শুলে রোগী আরামবোধ করে। তবে সাধারণত চিত করে শোয়ালে রোগী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি এবং হাড় নিরাপদে থাকে।
lরোগীকে কোনোভাবেই নড়াচড়া কিংবা বসানো চলবে না। এমনকি উপুড় করাও নিষেধ।
lরোগীকে শোয়ানোর সময় একাধিক ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে যাতে রোগীর নিজ থেকে শারীরিক চাপ প্রয়োগ করতে না হয়।
lরোগীর ঘাড় যাতে বেঁকে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
lরোগীর বুক, কোমর, মাথা এবং ঘাড়ের দু’পাশে বালিশ বা কম্বল রাখুন যাতে সে তার এসব অঙ্গ নাড়াতে পারে।
lরোগী যাতে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে সেদিক খেয়াল রাখুন।
lঅতঃপর রোগীকে স্ট্রেচার কিংবা সমান্তরাল কাঠের তক্তায় উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ সময়ে তার যাতে ঝাকি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
lস্ট্রেচার বা কাঠের তক্তা পাওয়া না গেলে চারজন লোক ধরাধরি করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। একজন রোগীর মাথার নিচে, দ্ব্বিতীয় জন রোগীর কাঁধের হাড়ের নিচে, তৃতীয় জন রোগীর নিতম্বের নিচে ও চতুর্থ জন রোগীর হাঁটু ও পায়ের নিচে হাত রেখে রোগীকে সমান্তরাল রাখতে হবে যাতে রোগীর মেরুদণ্ড বেঁকে না যায়।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক
অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, ২, ইংলিশ রোড, ঢাক