ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুক-ইন্টারনেটে কথা বলার বিধান কী?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

প্রশ্ন : মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুক-ইন্টারনেটে কথা বলার বিধান কী?

উত্তর : যদি দ্বীনী উপকার নিহিত থাকে, সেই সঙ্গে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে জায়েজ আছে। কিন্তু গোনাহে লিপ্ত হবার সম্ভাবনা থাকলে জায়েজ নয়।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‌‌’আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। ‘ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৩)

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‌চোখের জিনা হলো (নিষিদ্ধ) দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হলো, (গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক) কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হলো, (গায়রে মাহরামের সঙ্গে সুড়সুড়িমূলক) কথোপকথন। হাতের জিনা হলো, (গায়রে মাহরামকে) ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হলো, (খারাপ উদ্দেশ্যে) চলা। অন্তর চায় ও কামনা করে, আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় (যদি জিনা করে) এবং মিথ্যা পরিণত করে (যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে)। ‘ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৯৩২)

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুক-ইন্টারনেটে কথা বলার বিধান কী?

আপডেট সময় ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

প্রশ্ন : মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুক-ইন্টারনেটে কথা বলার বিধান কী?

উত্তর : যদি দ্বীনী উপকার নিহিত থাকে, সেই সঙ্গে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে জায়েজ আছে। কিন্তু গোনাহে লিপ্ত হবার সম্ভাবনা থাকলে জায়েজ নয়।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‌‌’আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। ‘ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৩)

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‌চোখের জিনা হলো (নিষিদ্ধ) দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হলো, (গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক) কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হলো, (গায়রে মাহরামের সঙ্গে সুড়সুড়িমূলক) কথোপকথন। হাতের জিনা হলো, (গায়রে মাহরামকে) ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হলো, (খারাপ উদ্দেশ্যে) চলা। অন্তর চায় ও কামনা করে, আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় (যদি জিনা করে) এবং মিথ্যা পরিণত করে (যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে)। ‘ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৯৩২)

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী