ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাত্রাপুরের ইসলামী মহা-সম্মেলন

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর :

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মজলুম ছিলেন। ইসলাম মজলুমের জন্য, জালিমের জন্য নয়। মজলুমদের সাথে সব সময় আল্লাহ থাকেন। আমাদের নবী (সা.) ও মজলুম ছিলেন। তাই মজলুম হওয়া প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মজলুম ব্যক্তিকে আল্লাহও পছন্দ করেন।

তিনি আরো বলেন, এ পৃথিবীতে যা কিছু আছে ,সবকিছুই আল্লাহ তা’আলা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যা এত বিপুল পরিমান যে, তা পরিসংখ্যান করা অসম্ভব। আমাদের সকলকে তাঁর নেয়ামত গুলোর উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হবে।

ম. রুহুল আমীন সোমবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর এ.কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহা-সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম শাহেদ। হাফেজ ক্বারী আবু আবদুল্লাহ মোসলেহ উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. শায়খ ইমাম হোসেন।

বিশেষ বক্তা ছিলেন শায়খ ড. মাসুদ বিন আবদুল্লাহ ও বিজয় টিভির ধর্মীয় আলোচক মুফতী ড. আইনুদ্দিন আল আইনী। সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের উপস্থাপনায় ইসলামী মহা-সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম ভুইয়া সেলিম, যাত্রাপুর এ.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাওলানা নজরুল ইসলাম সরকার, বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আলাউদ্দিন মুন্সী আলাল, মাওলানা নজির আহাম্মদ, মাওলানা মহসীনুল করিম, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আল-আমিন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি সৈয়দ তৈয়বুর রহমান ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ড. ইমাম হোসেন বলেন, কেউ ইচ্ছে করলেই ঈমানের নিয়ামত ও হেদায়েত পাবে না। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাঁকে হেদায়েত দান করেন। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা শুধু পবিত্র কোরআন ও হাদীস নিয়ে গবেষণা করছে। তবুও সেই মানুষগুলো হেদায়েত ও ঈমানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত। অথচ আমরা কোন কষ্ট ছাড়া অতি সহজেই ঈমানের নেয়ামত পেয়ে গেছি। এর জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

যাত্রাপুরের ইসলামী মহা-সম্মেলন

আপডেট সময় ০৪:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর :

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মজলুম ছিলেন। ইসলাম মজলুমের জন্য, জালিমের জন্য নয়। মজলুমদের সাথে সব সময় আল্লাহ থাকেন। আমাদের নবী (সা.) ও মজলুম ছিলেন। তাই মজলুম হওয়া প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মজলুম ব্যক্তিকে আল্লাহও পছন্দ করেন।

তিনি আরো বলেন, এ পৃথিবীতে যা কিছু আছে ,সবকিছুই আল্লাহ তা’আলা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যা এত বিপুল পরিমান যে, তা পরিসংখ্যান করা অসম্ভব। আমাদের সকলকে তাঁর নেয়ামত গুলোর উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হবে।

ম. রুহুল আমীন সোমবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর এ.কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহা-সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম শাহেদ। হাফেজ ক্বারী আবু আবদুল্লাহ মোসলেহ উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. শায়খ ইমাম হোসেন।

বিশেষ বক্তা ছিলেন শায়খ ড. মাসুদ বিন আবদুল্লাহ ও বিজয় টিভির ধর্মীয় আলোচক মুফতী ড. আইনুদ্দিন আল আইনী। সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের উপস্থাপনায় ইসলামী মহা-সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম ভুইয়া সেলিম, যাত্রাপুর এ.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাওলানা নজরুল ইসলাম সরকার, বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আলাউদ্দিন মুন্সী আলাল, মাওলানা নজির আহাম্মদ, মাওলানা মহসীনুল করিম, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আল-আমিন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি সৈয়দ তৈয়বুর রহমান ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ড. ইমাম হোসেন বলেন, কেউ ইচ্ছে করলেই ঈমানের নিয়ামত ও হেদায়েত পাবে না। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাঁকে হেদায়েত দান করেন। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা শুধু পবিত্র কোরআন ও হাদীস নিয়ে গবেষণা করছে। তবুও সেই মানুষগুলো হেদায়েত ও ঈমানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত। অথচ আমরা কোন কষ্ট ছাড়া অতি সহজেই ঈমানের নেয়ামত পেয়ে গেছি। এর জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।