অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ এবং ‘খুন’ হওয়া নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডলার দিল সৌদি আরব। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রিয়াদে অবস্থানকালে এই বিল গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থ সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। নিউইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি।
সৌদির কাছ থেকে অর্থগ্রহণের সময় ও প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। খাশোগি ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা সৌদি আরবকে রক্ষা করতে এ অর্থ ঘুষ হিসেবে দেয়া হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়েছে পত্রিকা। খবরটি প্রথম প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমসই।
তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, খাশোগির নিখোঁজ ইস্যুতে পম্পেওর আলোচনার সঙ্গে এই অর্থছাড়ের কোন সম্পর্ক নেই।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের দূত ব্রেট ম্যাকগুর্ক বলেন, ‘অর্থছাড় একটি দীর্ঘমেয়াদী প্র্রক্রিয়া, পম্পেওর সফর বা অন্য কোন ঘটনার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই।’
তেল সমৃদ্ধ মার্কিন মিত্র সৌদি আরব নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে বিভিন্ন দেশকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। পশ্চিমা কূটনীতিকরা সন্দেহ করছেন, খাশোগি ইস্যুতে তুরস্ককেও অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে পারে সৌদি আরব। এটি হতে পারে ঋণ মওকুফ বা অন্যকিছু।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে ‘খুন’ করা নিয়ে বর্তমানে চাপে আছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে সম্ভবত এবারও পার পেয়ে যাবেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও তার উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সুবাধে মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য নীতির কেন্দ্রে অবস্থান করছেন যুবরাজ।