ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছে পোল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ন্যাটোর অংশীদার পূর্ব-ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড ধীরে ধীরে ঝুঁকছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। দেশটির ডানপন্থি সরকারের অনেকেই মনে করেন, ন্যাটোর ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি প্রদর্শনে বেশি সক্ষম।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর স্মরণের আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের রাষ্ট্র পোল্যান্ড আশা করছে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা তৈরি হতে পারে।

১৯৩৯ সালের পয়লা সেপ্টেন্বর অ্যাডল্ফ হিটলারের নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এর ফলে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ২০১৯ সালে এই ঘটনার ৮০তম বার্ষিকী পালন করছে দেশটি।

ক্ষমতাসীন ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি- পিআইএস ট্রাম্পের সফর নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছে। ফলে এ সফর বাতিল দলটির জন্য বড় ধাক্কা। প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস দুদার সহযোগী ভোইচিয়েক কোলারস্কি বলেছেন, ‘পোলিশ ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের উপস্থিতি আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল’। ট্রাম্প সফরে এলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টিও পোল্যান্ডের দিকে থাকত বলেও মনে করেন তিনি।

এই স্মারক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এলে পোল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনার আশা ছিল পোলিশ নেতাদের। সফর শেষে ট্রাম্পের মুখ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি শোনা যাবে, এমন আশাও ছিল তাদের মনে। কিন্তু গ্রিনল্যান্ড বেচা-কেনা সংক্রান্ত বাকবিত-ায় ডেনমার্কে নিজের সফর বাতিল করার পর এবার হারিকেন ডোরিয়ানের কারণ দেখিয়ে পোল্যান্ড সফরও বাতিল করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স পোল্যান্ড সফর করছেন। তাতেও অবশ্য পুরোপুরি হতাশ নন পোল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ। এই আয়োজনে পেন্স ছাড়াও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলও উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমতাসীন পিআইএস মনে করে পশ্চিমেই অবস্থিত পোল্যান্ডের সব বন্ধু। এই চিন্তা থেকেই কিনা, রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধিকে রবিবারের অনুষ্ঠানে দাওয়াতই দেয়নি পোল্যান্ড।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পশ্চিমে পোল্যান্ডের বন্ধুত্বেও বেশ ঝামেলা রয়েছে। জার্মানির সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বেশ টানাপড়েন রয়েছে। অন্যদিকে শরণার্থী সংকট মোকাবেলা, বাল্টিক সাগরে রুশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ, এমন বেশকিছু ইস্যুতে পোল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করে।

ইইউ এর সঙ্গে পোলিশ বিচারব্যবস্থা নিয়েও দেশটির এক ধরনের সংঘাত রয়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ওয়ারসো ইউরোপের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বেশি ভরসা রাখে।

পোলিশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের বেয়াটা গোর্কা-উইন্টার বলেন, ‘ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী এক সদস্য রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে অন্য সদস্য রাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতার যে শর্ত রয়েছে, সেটা সবচেয়ে যে ভালো পারবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটাই স্বাভাবিক।’

তিনি জানান, পোল্যান্ড আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রেরই একমাত্র সামরিক সহযোগিতার সামর্থ্য রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে ন্যাটোর যে সহযোগীরা রয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় সেনাবাহিনীই গঠন করতে পারেনি’।

পশ্চিমে যেমন বন্ধু খুঁজছে পোল্যান্ড, পূর্বে তেমনই দেখছে শত্রুতার আভাস। বিশেষ করে রাশিয়াকে অন্যতম নিরাপত্তা হুমকি মনে করে দেশটি। ২০১৪ সালে ইউক্রেন সংকট শুরুর পর থেকে ওয়ারসো নিজের সেনাবাহিনী ঢেলে সাজাতে কয়েক বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে।

২০১৮ সালে সোয়া চার বিলিয়ন ইউরো দামের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মার্কিন প্যাট্রিয়ট মিসাইল কেনে পোল্যান্ড। দেশটির ইতিহাসে এটিই এ ধরনের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৬৫ মিলিয়ন ইউরো দামের বহনযোগ্য রকেট নিক্ষেপণ ব্যবস্থা কেনে পোল্যান্ড। এছাড়া, ৩২টি এফ-থার্টি ফাইভ জেট ফাইটার কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে ওয়ারসোর।

ট্রাম্প এই মধ্যে পোল্যান্ডের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এর ফলে প্রতিরক্ষা খাতে ন্যূনতম ব্যয়ের শর্ত পূরণ করা গুটিকয়েক ন্যাটো সদস্যের একটিতে পরিণত হয়েছে পোল্যান্ড। ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির আড়াই শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে দেশটির।

ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে জার্মানির ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। এমনকি প্রয়োজনে জার্মানি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এই সুযোগকে লুফে নিতে চাচ্ছে পোল্যান্ড। এই মুহূর্তে দেশটিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে সাড়ে চার হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।  রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়ার পর থেকে তিন বাল্টিক দেশে ন্যাটোর সৈন্যও অবস্থান করছে।

তবে পোল্যান্ড চায় মার্কিন সেনারা দেশটিতে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করুক। এজন্য প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও রাজি দেশটি। পোলিশ প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাবিত ঘাঁটিকে ‘ফোর্ট ট্রাম্প’ বা ‘ট্রাম্পের দুর্গ’ নাম দিয়েছেন, যা হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বেশ আকৃষ্টই করবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছে পোল্যান্ড

আপডেট সময় ০১:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ন্যাটোর অংশীদার পূর্ব-ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড ধীরে ধীরে ঝুঁকছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। দেশটির ডানপন্থি সরকারের অনেকেই মনে করেন, ন্যাটোর ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি প্রদর্শনে বেশি সক্ষম।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর স্মরণের আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের রাষ্ট্র পোল্যান্ড আশা করছে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা তৈরি হতে পারে।

১৯৩৯ সালের পয়লা সেপ্টেন্বর অ্যাডল্ফ হিটলারের নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এর ফলে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ২০১৯ সালে এই ঘটনার ৮০তম বার্ষিকী পালন করছে দেশটি।

ক্ষমতাসীন ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি- পিআইএস ট্রাম্পের সফর নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছে। ফলে এ সফর বাতিল দলটির জন্য বড় ধাক্কা। প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস দুদার সহযোগী ভোইচিয়েক কোলারস্কি বলেছেন, ‘পোলিশ ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের উপস্থিতি আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল’। ট্রাম্প সফরে এলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টিও পোল্যান্ডের দিকে থাকত বলেও মনে করেন তিনি।

এই স্মারক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এলে পোল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনার আশা ছিল পোলিশ নেতাদের। সফর শেষে ট্রাম্পের মুখ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি শোনা যাবে, এমন আশাও ছিল তাদের মনে। কিন্তু গ্রিনল্যান্ড বেচা-কেনা সংক্রান্ত বাকবিত-ায় ডেনমার্কে নিজের সফর বাতিল করার পর এবার হারিকেন ডোরিয়ানের কারণ দেখিয়ে পোল্যান্ড সফরও বাতিল করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স পোল্যান্ড সফর করছেন। তাতেও অবশ্য পুরোপুরি হতাশ নন পোল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ। এই আয়োজনে পেন্স ছাড়াও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলও উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমতাসীন পিআইএস মনে করে পশ্চিমেই অবস্থিত পোল্যান্ডের সব বন্ধু। এই চিন্তা থেকেই কিনা, রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধিকে রবিবারের অনুষ্ঠানে দাওয়াতই দেয়নি পোল্যান্ড।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পশ্চিমে পোল্যান্ডের বন্ধুত্বেও বেশ ঝামেলা রয়েছে। জার্মানির সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বেশ টানাপড়েন রয়েছে। অন্যদিকে শরণার্থী সংকট মোকাবেলা, বাল্টিক সাগরে রুশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ, এমন বেশকিছু ইস্যুতে পোল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করে।

ইইউ এর সঙ্গে পোলিশ বিচারব্যবস্থা নিয়েও দেশটির এক ধরনের সংঘাত রয়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ওয়ারসো ইউরোপের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বেশি ভরসা রাখে।

পোলিশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের বেয়াটা গোর্কা-উইন্টার বলেন, ‘ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী এক সদস্য রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে অন্য সদস্য রাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতার যে শর্ত রয়েছে, সেটা সবচেয়ে যে ভালো পারবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটাই স্বাভাবিক।’

তিনি জানান, পোল্যান্ড আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রেরই একমাত্র সামরিক সহযোগিতার সামর্থ্য রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে ন্যাটোর যে সহযোগীরা রয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় সেনাবাহিনীই গঠন করতে পারেনি’।

পশ্চিমে যেমন বন্ধু খুঁজছে পোল্যান্ড, পূর্বে তেমনই দেখছে শত্রুতার আভাস। বিশেষ করে রাশিয়াকে অন্যতম নিরাপত্তা হুমকি মনে করে দেশটি। ২০১৪ সালে ইউক্রেন সংকট শুরুর পর থেকে ওয়ারসো নিজের সেনাবাহিনী ঢেলে সাজাতে কয়েক বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে।

২০১৮ সালে সোয়া চার বিলিয়ন ইউরো দামের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মার্কিন প্যাট্রিয়ট মিসাইল কেনে পোল্যান্ড। দেশটির ইতিহাসে এটিই এ ধরনের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৬৫ মিলিয়ন ইউরো দামের বহনযোগ্য রকেট নিক্ষেপণ ব্যবস্থা কেনে পোল্যান্ড। এছাড়া, ৩২টি এফ-থার্টি ফাইভ জেট ফাইটার কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে ওয়ারসোর।

ট্রাম্প এই মধ্যে পোল্যান্ডের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এর ফলে প্রতিরক্ষা খাতে ন্যূনতম ব্যয়ের শর্ত পূরণ করা গুটিকয়েক ন্যাটো সদস্যের একটিতে পরিণত হয়েছে পোল্যান্ড। ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির আড়াই শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে দেশটির।

ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে জার্মানির ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। এমনকি প্রয়োজনে জার্মানি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এই সুযোগকে লুফে নিতে চাচ্ছে পোল্যান্ড। এই মুহূর্তে দেশটিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে সাড়ে চার হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।  রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়ার পর থেকে তিন বাল্টিক দেশে ন্যাটোর সৈন্যও অবস্থান করছে।

তবে পোল্যান্ড চায় মার্কিন সেনারা দেশটিতে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করুক। এজন্য প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও রাজি দেশটি। পোলিশ প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাবিত ঘাঁটিকে ‘ফোর্ট ট্রাম্প’ বা ‘ট্রাম্পের দুর্গ’ নাম দিয়েছেন, যা হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বেশ আকৃষ্টই করবে।