আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন আইডা আঘাত পর সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ বন্যায় ছয় অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে আঘাত হানে আইডা। এদিন প্রবল বর্ষণ হওয়ার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়। সেখানকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। সড়কে গাড়ি তলিয়ে যেতে দেখা গেছে। বহু মানুষ ভবনের বেজমেন্টে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

নিউ জার্সি রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ২৩ জন মারা গেছেন। গভর্নর ফিল মারফি বলেছেন, ‘বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে গাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে। বন্যার পানি গাড়িকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। অনেক মৃত্যু হিসাবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আমরা ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করার চেষ্টা করছি।’

নিউইয়র্ক শহরে কমপক্ষে ১৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে নিহতদের মধ্যে ১১ জন ভবনের বেজমেন্টে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যান। ফিলাডেলফিয়া ও পেনসিলভানিয়ায় ৩ জন করে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে একজন উদ্ধারকারী একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি স্রোতের সঙ্গে ভেসে যান। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

বন্যার কারণে নিউইয়র্ক শহরের সাবওয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে পানি থৈথৈ করছে। রাস্তায় জরুরি সেবা ছাড়া অন্য গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। অনেক ফ্লাইট ও ট্রেনের শিডিউল স্থগিত করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক সেন্ট্রাল পার্কে মাত্র ১ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানকার সব রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে ১ লাখ পরিবার বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবেলার জন্য ‘ঐতিহাসিক বিনিয়োগ’ প্রয়োজন। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনগত সমস্যায় ভুগছে। এর আগে দেশটিতে হিটওয়েভ এবং দাবানলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জো বাইডেনের ভাষায়, এটি এখন ‘জীবন-মরণ সমস্যা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।