ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে সুন্দরী হয়েও জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন না এই গ্রামের তরুণীরা

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামে মহিলাদেরই আধিক্য বেশি। ৬শরও বেশি মহিলা থাকেন এই গ্রামে। যে কয়েক জন মহিলা বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। তা ছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।

এই গ্রামের সকল মহিলা এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। সবাই বিয়ের উপযুক্ত হলেও পাত্রের অভাবে অবিবাহিত অবস্থাতেই থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনো মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যেতে পারবেন না। উল্টো স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে স্রেফ ওই কারণের জন্য।

এর পিছনেও একটি কাহিনি রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরো-তে এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে মহিলাদের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

যে কারণে সুন্দরী হয়েও জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন না এই গ্রামের তরুণীরা

আপডেট সময় ১২:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামে মহিলাদেরই আধিক্য বেশি। ৬শরও বেশি মহিলা থাকেন এই গ্রামে। যে কয়েক জন মহিলা বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। তা ছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।

এই গ্রামের সকল মহিলা এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। সবাই বিয়ের উপযুক্ত হলেও পাত্রের অভাবে অবিবাহিত অবস্থাতেই থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনো মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যেতে পারবেন না। উল্টো স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে স্রেফ ওই কারণের জন্য।

এর পিছনেও একটি কাহিনি রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরো-তে এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে মহিলাদের।