লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ক্ষুধা মিটিয়ে পুষ্টির চাহিদা জোগায় খাবার। বাড়িতে তাই এমন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। জেনে নিন কোন ১০টি খাবার বাড়িতে সব সময় মজুদ রাখা উচিত।
০১. শুকনো, ক্যান ভর্তি মটর বা বিভিন্ন ডাল বাড়িতে মজুত থাকলে রান্নার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। নষ্ট হওয়ার ঝামেলা নেই, উল্টো বেশ পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা যায়।
০২. ওটস, ব্রাউন রাইস, ডালিয়া ইত্যাদি দীর্ঘদিন বাড়ির সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া যায়। এদেরও খাদ্যগুণ নেহাত কম নয়।
০৩. অনেক টাটকা সবজি বা ফল সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ফ্রোজেন অর্থাৎ জমানো ফল-সবজি বেশ অনেকদিন রেখে রেখে ব্যবহার করা যায়। স্যুপ বা স্মুথিতে দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগে।
০৪. বাড়িতে অবশ্যই মজুত রাখুন মধু বা ম্যাপল সিরাপ। বিভিন্ন রান্নায় মিষ্টি দিতে চিনির বদলে এগুলো ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল।
০৫. কোনো রান্নার সস তৈরিতে বা কোনও কিছু ড্রেসিং করতে ভিনিগারের জুড়ি মেলা ভার। সমীক্ষা বলছে ভিনিগারে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি থাকতে পারে।
০৬. বাড়ির সাধারণ তাপমাত্রায় বিভিন্ন স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট যেমন নারকেল তেল, ঘি, অলিভ অয়েল রেখে দেওয়া যায়। তাই বাজার করার সময় এইগুলো একসঙ্গে অনেকটা কিনে রাখতেই পারেন।
০৭. সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে বিভিন্ন রকমের মশলা তো লাগবেই। হলুদ গুঁড়া, গোলমরিচ, দারুচিনি, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি মশলা বাড়িতে রাখাও সহজ, পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ।
০৮. আমাদের নিত্যদিনের বেশিরভাগ রেসিপির মূল উপাদান হচ্ছে রসুন আর পেঁয়াজ। কোনও বিখ্যাত শেফই হোন বা মায়ের হাতের রান্না, এই দুটো উপাদান সবকিছুতেই প্রায় থাকে। তাই রসুন আর পেঁয়াজ বাড়িতে মজুত রাখা একান্ত জরুরি।
০৯. ফ্রোজেন মাছ, মাংসও বাড়িতে মজুত রাখতে পারেন। টাটকা মাছ মাংস এনেও ফ্রিজের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখলে তা বহুদিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযুক্ত থাকে।
১০. ডিম এমন একটা জিনিস যা যখন তখন খাওয়া যায়। প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সমাহার এই ডিম। ঠিকমতো রাখলে ফ্রিজারে প্রায় ৫ সপ্তাহ টিকে যায় ডিম।