আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাতভর প্রবল ঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য। ঝড়ে যুক্তরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় শত শত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়েছেন। প্রবল বাতাস, বৃষ্টি, তুষারপাতে গাছচাপা পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে গাছপালা, বিলবোর্ড ভেড়ে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হয়ে স্থবির হয়েছে জনজীবন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ঝড় আরওয়েনের তাণ্ডবে যুক্তরাজ্যজুড়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গাছ উপরে গাড়ির ওপরে পড়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডের অ্যানট্রিমে ফ্রান্সিস লাগান নামে এক শিক্ষক মারা গেছেন। তিনি মাঘেরার সেন্ট মেরি প্রাইমারি স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন।
কামব্রিয়াতে একটি পতিত গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। স্কটল্যান্ডে, ৮০ হাজার মানুষ বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছে।
নর্থ অ্যাম্বারল্যান্ডে ঝড়ো হাওয়া ৯৮ মাইল বেগে আঘাত হানলে ১২০ টির বেশি লরি রচডেলের কাছে তুষারে আটকা পড়ে।
শনিবার যুক্তরাজ্য জুড়ে প্রবল ঝড়ো হাওয়া, তুষার এবং বরফ পড়ার সম্ভাবনা থাকায় দেশটি আবারো সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। স্কটল্যান্ডের পুলিশ কোনো অবস্থাতেই সাধারণ লোকজনকে ভ্রমণ না করার অনুরোধ করে।
আবহাওয়া অফিস স্কটল্যান্ড এবং উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের পূর্ব উপকূল জুড়ে ভয়ানক সতর্কতা জারি করেছিল।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রাতভর ঝড়ো হাওয়ায় যুক্তরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
অরলক হেড ও কাউন্টি ডাউনে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮৭ মাইল। স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ইনভারবারবিতে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৮ মাইল এবং ওয়েলসের এবারপথে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৭ মাইল।
কুমব্রিয়ার পুলিশ জানায়, শুক্রবার অ্যাম্বেলসাইডে একটি গাছ পড়ে ল্যাঙ্কাস্টারের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, লন্ডন নর্থ ইসটারন রেইলওয়ে সোমবার পর্যন্ত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্কটরেলও শুক্রবার অ্যাবারডিন, পার্থ এবং ইনভারনেসের মধ্যে পরিষেবা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ঝড়ে স্কটিশ এবং সাউদার্ন ইলেকট্রিসিটি নেটওয়ার্ক জানায়, স্কটল্যান্ডের প্রায় ৮০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়।
নর্দান পাওয়ার গ্রিড জানায়, তাদের ৫৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডেও কিছু বিভ্রাট ছিল বলে জানা যায়।