তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
চাঁদের বুকে অবতরণ করতে যাচ্ছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ২’। স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান দেখবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুক্রবার মধ্যরাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা রয়েছে এই মহাকাশ যানের। এটি বাস্তবায়িত হলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি প্রথম পৌঁছানোর ইতিহাস গড়বে ভারত।
সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থেকে ছাত্রদের সঙ্গে তা দেখবেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযানের অবতরণ দেখবে ৭০ ছাত্র।
ইতোমধ্যেই চাঁদে অবতরণকারী যান ‘বিক্রম’ মহাকাশ যান থেকে নিজেকে পৃথক করে নিয়ে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে। চাঁদের থেকে দূরত্ব কমিয়ে শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতে পারবে।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোভার ‘প্রজ্ঞান’ সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছটার মধ্যে চাঁদের ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে। চাঁদের উৎস সম্বন্ধে বিশদ বিবরণ, উপগ্রহে জলের উপস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ছবি তুলে গবেষণা শুরু করবে।
‘চন্দ্রযান ২’ উৎক্ষেপণের সময়। ছবি: এনডিটিভি
এ বিষয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান চন্দ্রায়নের দাবি, এই অভিযান ইসরোর সবচেয়ে জটিল মিশন।
এতদিন সমস্ত অভিযান চাঁদের উত্তর মেরু বা গোলার্ধ এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে হয়েছে। এই প্রথম ভারত উপগ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধ বা মেরুতে পা রাখতে চলেছে এই চন্দ্রযান। এর আগে চীন থেকে পাঠানো এক মহাকাশ যান চাঁদের উত্তরের অংশে অবতরণ করেছিল। পরে, যায় রাশিয়ার লুনা মিশন।
চন্দ্রযান ২ সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর চাঁদে পৌঁছানো দেশ হিসেবে ভারত চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে।
২৩ জুলাই অন্ধ প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। এই মহাকাশ যানটি ইসরোর তৈরি সর্ব বৃহৎ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এটি ৪৪ মিটার দীর্ঘ এবং উচ্চতায় ১৫ তলা বিল্ডিংয়ের সমান।