ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কের বেহাল দশায় জনর্দুভোগ চরমে

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আর সড়ক ও যনপদ বিভাগের মধ্যে অধিনস্থ নিয়ে চলমান ধাক্কাধাক্কিতে
দুর্ভোগে দিশাহারা পাথচারীসহ যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। স্থানীয় সংসদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় এক যুগ পূর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়টি মেরামদ করে। এর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। উপজেলার ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর মধ্যে রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। রামচন্দ্রপুর থেকে পাচঁকিত্তা বাজার হয়ে তিতাস ব্রীজ পর্যন্ত সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব খালা-খন্ধে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। আর এ সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী ট্রাক ও যাত্রিবাহি যানবাহন চলাচল করছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই সড়কটি যেন একটি মরন ফাঁদে তৈরী হয়েছে। এর ফলে স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝূঁকিনিয়ে চলাচল করছে। আবার ঝুঁকির কারনে অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দিন দিন কমছে উপস্থিতির সংখ্যা।

কুমিল্লা জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রৌকন উদ্দিন খন্দকার বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন সকল সড়কের তালিকায় ২০১৫ সালের গেজেটে রামচন্দ্রপুর থেকে পাচঁকিত্তা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কের নাম রয়েছে। আর পাচঁকিত্তা থেকে তিতাস পর্যন্ত সড়কটির প্রায় ৫ কিলোমিটারের নাম না থাকায় এটি এখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিন চলে গেছে। বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন থাকা সড়কটির সংস্কার করার চাহিদা পত্র অধিদপ্তরে প্রেরন করা হলে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত সংস্কারের অনুমোদন হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, রামচন্দ্রপুর থেকে পাঁচকিত্তা হয়ে তিতাস পর্যন্ত সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমাদের তালিকায় সড়কটির নাম না আশায় আমরা সংস্কার করতে পারছিনা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কের বেহাল দশায় জনর্দুভোগ চরমে

আপডেট সময় ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৮
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আর সড়ক ও যনপদ বিভাগের মধ্যে অধিনস্থ নিয়ে চলমান ধাক্কাধাক্কিতে
দুর্ভোগে দিশাহারা পাথচারীসহ যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। স্থানীয় সংসদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় এক যুগ পূর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়টি মেরামদ করে। এর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। উপজেলার ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর মধ্যে রামচন্দ্রপুর-পাচঁকিত্তা-তিতাস সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। রামচন্দ্রপুর থেকে পাচঁকিত্তা বাজার হয়ে তিতাস ব্রীজ পর্যন্ত সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব খালা-খন্ধে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। আর এ সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী ট্রাক ও যাত্রিবাহি যানবাহন চলাচল করছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই সড়কটি যেন একটি মরন ফাঁদে তৈরী হয়েছে। এর ফলে স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝূঁকিনিয়ে চলাচল করছে। আবার ঝুঁকির কারনে অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দিন দিন কমছে উপস্থিতির সংখ্যা।

কুমিল্লা জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রৌকন উদ্দিন খন্দকার বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন সকল সড়কের তালিকায় ২০১৫ সালের গেজেটে রামচন্দ্রপুর থেকে পাচঁকিত্তা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কের নাম রয়েছে। আর পাচঁকিত্তা থেকে তিতাস পর্যন্ত সড়কটির প্রায় ৫ কিলোমিটারের নাম না থাকায় এটি এখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিন চলে গেছে। বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন থাকা সড়কটির সংস্কার করার চাহিদা পত্র অধিদপ্তরে প্রেরন করা হলে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত সংস্কারের অনুমোদন হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, রামচন্দ্রপুর থেকে পাঁচকিত্তা হয়ে তিতাস পর্যন্ত সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমাদের তালিকায় সড়কটির নাম না আশায় আমরা সংস্কার করতে পারছিনা।