আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়ায় পণ্যবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। আহত হয়েছেন অনেকেই। বুধবার বেলারুশের একটি পণ্যবাহী এএন-১২ বিমান পূর্ব রাশিয়ায় অবতরণ করতে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বেলারুশের বিমান পরিবহন সংস্থা ‘গ্রোডনো অ্যাভিয়া’ পরিচালিত সোভিয়েত জমানায় নির্মিত একটি এএন-১২ বিমান পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুটস্কের কাছে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে এবং তারপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। প্রথমদিকে বেলারুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি জানিয়েছিল, বিমানের ৭ জন যাত্রীই মার গিয়েছেন। পড়ে জানা যায়, মৃত্যু হয়েছে বিমানটিতে সওয়ার মোট ৯ যাত্রী।
রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথমবার অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বিমানটি। দ্বিতীয়বার অবতরণের সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনও দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। বেলারুশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজন বেলারুশীয়, দুজন রাশিয়ান এবং দুজন ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেও রাশিয়ায় একটি বিমান ভেঙে পড়ে। যার জেরে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়। বিমানটি ছিল ভলান্টিয়ার সোসাইটি ফর অ্যাসিসটেন্সের মালিকাধীন। যারা সাধারণত নৌবাহিনী, বায়ুসেনা এবং রাশিয়ার সেনাকে সাহায্য করে। সংস্থাটি খেলাধুলো এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত। এদিন সেই সংস্থার বিমানেই ছিলেন ২৩ জন প্যারাসুটিস্ট। যারা প্যারাসুটে চড়ে নানা কসরত দেখান।
এর আগে এমএইচ-১৭ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল গোটা বিশ্বে, শিরোনামে উঠে এসেছিল রাশিয়ার নাম। ওই ঘটনার তদন্তকারীদের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ-১৭ ধ্বংসের নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাঁদের দাবি, যে মিসাইলের আঘাতে বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় সেটি সরবরাহ করেছিল রুশ সেনার একটি মিসাইল ইউনিট। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ-১৭ যাত্রীবাহী বিমানটির উপর মিসাইল হামলা হয়। পূর্ব ইউক্রেনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় নিহত হন ২৯৮ জন যাত্রী ও চালকদের সবাই। ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। অভিযোগ উঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়, ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই কাজ করেছে।