আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়নি সরকার। কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, প্রধান বিরোধী দলের এই নেতাকে সদলবলে কাশ্মীর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। উপত্যকায় উত্তেজনা ছড়াবে এমন দাবি করে বিমানবন্দর থেকেই রাহুলসহ অন্য নেতাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে- এমন হুঁশিয়ারি আগেই করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাহুল তার দল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রওনা দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে দুপুরে কাশ্মীরের শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে দিল্লি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তার সফরসঙ্গী ছিলেন কংগ্রেসের অন্যতম নেতা গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মা; সিপিআই-এমের সীতারাম ইয়েচুরী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝাঁ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী।
দুপুরের পর কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছলে দলসহ রাহুল গান্ধীকে কোথাও যেতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।
রাহুল যখন কাশ্মীর সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে সেখানে যেতে অনুমতি দেবে না মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। কেননা কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর কোনো রাজনৈতিক নেতা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে সফরে যেতে পারেনি।
শুক্রবার রাতেই বিরোধ দলীয় নেতাদের উপত্যকায় সফরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সরকার দাবি করে, এ সফরের কারণে কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিতসহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা ব্যাহত হতে পারে। তাই সফর বাতিল করার অনুরোধ করা হয়েছিল।
কিন্তু কেন্দ্রের আপত্তি আমলে নেননি রাহুলের নেতৃত্বাধীন ১১ বিরোধী নেতা। তখনই আশঙ্কা করা হচ্ছিল সরকার এ সফর ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপও নিতে পারে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরকে প্রায় এক ঘরে আর অবরুদ্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার।