ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মিন্নি: পুলিশ সুপার

জাতীয় ডেস্ক:

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেছেন, ‘আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার স্বামী শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

 

তিনি জানান, হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন মিন্নি। মিন্নি স্বীকার করেছেন বলেই আমরা এই বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিমান্ড আবেদন করেছি এবং আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একাধিক আসামি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মিন্নি: পুলিশ সুপার

আপডেট সময় ০২:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেছেন, ‘আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার স্বামী শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

 

তিনি জানান, হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন মিন্নি। মিন্নি স্বীকার করেছেন বলেই আমরা এই বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিমান্ড আবেদন করেছি এবং আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একাধিক আসামি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।