লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রোগ নিরাময়ে এর রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে শরীর গরম রাখতে রসুনের জুড়ি নেই। তাই এই শীতে ডায়েটে রাখুন রসুন।
রসুনে থাকা সালফার বা গন্ধক এবং অ্যাসিলিন আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে৷ রসুন যখনই কাটি, তখনই অ্যাসিলিন বার হয়৷ তবে রসুন ব্যবহার করতে দেরি হলে অ্যাসিলিনের প্রভাব ম্রিয়মাণ হয়ে যায়৷
ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-6, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ রসুন একাধিক কাজে লাগে৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় রসুন৷ গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ডায়েটে রসুন থাকলে শীতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত। এাছাড়া ঠান্ডা লাগলেও রসুনের প্রভাবে সুস্থতা আসে দ্রুত৷ হয়তো যে সর্দিকাশি সারতে সাধারণত ৫ দিন সময় নেবে, যারা রসুন খান তাঁদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা হবে দেড় দিনের৷
রসুনের অ্যালিসিন উচ্চরক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে উপশমকারী৷ গবেষণায় দাবি, রসুন কার্যত ওষুধের মতো কাজ করে উচ্চরক্তচাপের সমস্যায়৷ আয়ুর্বেদশাস্ত্র বলে, উচ্চরক্তচাপ কমাতে মধু দিয়ে রসুনের রস পান করতে৷
রোজ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে ওজন কম হতে সাহায্য করে৷ যারা ডায়েটিং করছেন, তারা এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে পারেন৷ রোজ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে ওজন কম হতে সাহায্য করে৷ যাঁরা ডায়েটিং করছেন, তাঁরা এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে পারেন৷
রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে রসুন৷ ফলে মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি অনেক কমে যায়৷
রসুনে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের স্বাস্থ্য অটুট রাখে৷