ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজিনার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতার দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি। আমাদের লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর জন্য এই ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সরকারের জন্য দুঃখজনক। ঘটনাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। তবে, রোজিনা ইসলাম সুবিচার পাবেন এটা আমরা আশা করি।’

সাংবাদিক দুর্নীতির বিষয়ে জনগণ এবং সরকার উভয়কেই সতর্ক করে। সাংবাদিকরা না থাকলে সাহেদ এবং বালিশকাণ্ডের মতো দুর্নীতি প্রকাশ পেত না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

মঙ্গলবার পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। ওই দিন শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজিনার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতার দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি। আমাদের লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর জন্য এই ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সরকারের জন্য দুঃখজনক। ঘটনাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। তবে, রোজিনা ইসলাম সুবিচার পাবেন এটা আমরা আশা করি।’

সাংবাদিক দুর্নীতির বিষয়ে জনগণ এবং সরকার উভয়কেই সতর্ক করে। সাংবাদিকরা না থাকলে সাহেদ এবং বালিশকাণ্ডের মতো দুর্নীতি প্রকাশ পেত না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

মঙ্গলবার পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। ওই দিন শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।