ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবে সেনাবাহিনী

জাতীয় ডেস্ক:

জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। সরকারের সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মা ণের কাজ করবে সেনাবাহিনী।

আজ  সোমবার চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি গোলন্দাজ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের  এসব তথ্য জানান সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর ১৪, ২৬ ও ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ২১ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি কালার প্যারেডে অংশ নেয় এবং সেনাপ্রধানের কাছ থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ।

চারটি রেজিমেন্ট আর্টিলারির কন্টিনজেন্টগুলোতে নেতৃত্ব দেন যথাক্রমে ক্যাপ্টেন ফাহিম, ক্যাপ্টেন সাইদুর, ক্যাপ্টেন রিয়াদ ও মেজর আশিক।

জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, `যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছে, তারা ক্যাম্প থেকে বাইরে যাচ্ছে। নানা ঘটনা ঘটছে। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনাবাহিনীকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের গতিবিধি যাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সরকার সেনাবাহিনীকে সেই দায়িত্ব দিয়েছে।’

কাঁটাতারের বেড়া ও রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিযন্ত্রণে সেনাবাহিনী পরিকল্পনা তৈরি করছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, `সেনাবাহিনী অবশ্যই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে এবং রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করবে।’ রোহিঙ্গা সংকটে সেনাবাহিনীকে এ পর্যন্ত যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তা পেশাদারির সঙ্গে পালনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
নানা সময়ে মিয়ানমারের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পলিসি হচ্ছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। কেউ যদি আমাদের উসকানিও দেয়, আমরা সেটা থেকে যথাসম্ভব সংযত থাকব। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি কাম্য।’

এর আগে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কৃতিত্বের সাফল্য রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতিকুর রহমান, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া প্রধান, চট্টগ্রাম এরিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর কমান্ডার ছাড়াও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাদের পরিবার ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবে সেনাবাহিনী

আপডেট সময় ০২:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। সরকারের সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মা ণের কাজ করবে সেনাবাহিনী।

আজ  সোমবার চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি গোলন্দাজ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের  এসব তথ্য জানান সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর ১৪, ২৬ ও ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ২১ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি কালার প্যারেডে অংশ নেয় এবং সেনাপ্রধানের কাছ থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ।

চারটি রেজিমেন্ট আর্টিলারির কন্টিনজেন্টগুলোতে নেতৃত্ব দেন যথাক্রমে ক্যাপ্টেন ফাহিম, ক্যাপ্টেন সাইদুর, ক্যাপ্টেন রিয়াদ ও মেজর আশিক।

জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, `যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছে, তারা ক্যাম্প থেকে বাইরে যাচ্ছে। নানা ঘটনা ঘটছে। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনাবাহিনীকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের গতিবিধি যাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সরকার সেনাবাহিনীকে সেই দায়িত্ব দিয়েছে।’

কাঁটাতারের বেড়া ও রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিযন্ত্রণে সেনাবাহিনী পরিকল্পনা তৈরি করছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, `সেনাবাহিনী অবশ্যই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে এবং রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করবে।’ রোহিঙ্গা সংকটে সেনাবাহিনীকে এ পর্যন্ত যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তা পেশাদারির সঙ্গে পালনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
নানা সময়ে মিয়ানমারের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পলিসি হচ্ছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। কেউ যদি আমাদের উসকানিও দেয়, আমরা সেটা থেকে যথাসম্ভব সংযত থাকব। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি কাম্য।’

এর আগে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কৃতিত্বের সাফল্য রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতিকুর রহমান, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া প্রধান, চট্টগ্রাম এরিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর কমান্ডার ছাড়াও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাদের পরিবার ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।