ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে বারণ করেছিলেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রধান

অন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা রেনাটা লক ডেসালিয়েন রোহিঙ্গা সংকটে যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই সাবেক সহকর্মীরা। সাবেক কয়েকজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা এবং ত্রাণ কর্মী বলেছেন, তিনি জাতিসংঘের অফিসে এমনকি রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো কথা বলতে পর্যন্ত বারণ করেছিলেন। শরণার্থীদের অধিকারের বিষয় মিয়ানমার সরকারের কাছে উত্থাপনেও তিনি বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার সূত্রগুলো বিবিসির কাছে এই অভিযোগ করেছে। জাতিসংঘের একজন সাবেক কর্মকর্তা এমনকি অভিযোগ করেছেন যে মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রধান কর্মকর্তা মানবাধিকার কর্মীদের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চেয়েছেন। তবে মিয়ানমারে জাতিসংঘ দফতর বিবিসির এই রিপোর্টে উঠে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মাসে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে শুরু করে, তখন থেকে এই সংকট মোকাবেলায় সামনের কাতারে আছে জাতিসংঘ। শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ ত্রাণ সাহায্য পাঠিয়েছে এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের নিন্দা করে কঠোর ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে।
কিন্তু এই সংকটের পূর্ববর্তী চার বছর ধরে মিয়ানমারে জাতিসংঘের কার্যক্রমের প্রধান রেনাটা লক ডেসালিয়েন রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে ভূমিকা পালন করেন, তা নিয়ে অনেক অভিযোগ তুলেছেন তারই সাবেক সহকর্মী এবং বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য রেনাটা লক ডেসালিয়েন এর আগে বাংলাদেশেও জাতিসংঘের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কানাডার নাগরিক রেনাটা লক ডেসালিয়েনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে : রোহিঙ্গাদের এলাকায় মানবাধিকার কর্মীদের যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা, এ নিয়ে জনমত গড়ে তোলার কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা এবং রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টার ব্যাপারে সতর্কবাণী দিয়েছেন যেসব কর্মকর্তা, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার চেষ্টা করা। মিয়ানমারে কাজ করেছেন এমন একজন ত্রাণ কর্মকর্তা ক্যারোলাইন ভ্যানডেনাবিলি জানিয়েছেন, জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা কিভাবে শুরু হয়, তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তার আছে। রুয়ান্ডার গণহত্যার আগে ১৯৯৩-৯৪ সালে তিনি সেখানে নিজের চোখে দেখেছেন কী ঘটেছে। তিনি যখন মিয়ানমারে এসে পৌঁছান, তখন সেখানেও এই একই প্যাটার্ন তার চোখে পড়েছে। বিবিসি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে বারণ করেছিলেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রধান

আপডেট সময় ১১:০০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
অন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা রেনাটা লক ডেসালিয়েন রোহিঙ্গা সংকটে যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই সাবেক সহকর্মীরা। সাবেক কয়েকজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা এবং ত্রাণ কর্মী বলেছেন, তিনি জাতিসংঘের অফিসে এমনকি রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো কথা বলতে পর্যন্ত বারণ করেছিলেন। শরণার্থীদের অধিকারের বিষয় মিয়ানমার সরকারের কাছে উত্থাপনেও তিনি বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার সূত্রগুলো বিবিসির কাছে এই অভিযোগ করেছে। জাতিসংঘের একজন সাবেক কর্মকর্তা এমনকি অভিযোগ করেছেন যে মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রধান কর্মকর্তা মানবাধিকার কর্মীদের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চেয়েছেন। তবে মিয়ানমারে জাতিসংঘ দফতর বিবিসির এই রিপোর্টে উঠে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মাসে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে শুরু করে, তখন থেকে এই সংকট মোকাবেলায় সামনের কাতারে আছে জাতিসংঘ। শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ ত্রাণ সাহায্য পাঠিয়েছে এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের নিন্দা করে কঠোর ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে।
কিন্তু এই সংকটের পূর্ববর্তী চার বছর ধরে মিয়ানমারে জাতিসংঘের কার্যক্রমের প্রধান রেনাটা লক ডেসালিয়েন রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে ভূমিকা পালন করেন, তা নিয়ে অনেক অভিযোগ তুলেছেন তারই সাবেক সহকর্মী এবং বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য রেনাটা লক ডেসালিয়েন এর আগে বাংলাদেশেও জাতিসংঘের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কানাডার নাগরিক রেনাটা লক ডেসালিয়েনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে : রোহিঙ্গাদের এলাকায় মানবাধিকার কর্মীদের যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা, এ নিয়ে জনমত গড়ে তোলার কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা এবং রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টার ব্যাপারে সতর্কবাণী দিয়েছেন যেসব কর্মকর্তা, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার চেষ্টা করা। মিয়ানমারে কাজ করেছেন এমন একজন ত্রাণ কর্মকর্তা ক্যারোলাইন ভ্যানডেনাবিলি জানিয়েছেন, জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা কিভাবে শুরু হয়, তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তার আছে। রুয়ান্ডার গণহত্যার আগে ১৯৯৩-৯৪ সালে তিনি সেখানে নিজের চোখে দেখেছেন কী ঘটেছে। তিনি যখন মিয়ানমারে এসে পৌঁছান, তখন সেখানেও এই একই প্যাটার্ন তার চোখে পড়েছে। বিবিসি।