ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ৩০ উপজেলায় বিশেষ কমিটি ’

জাতীয় ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলার ৩০ উপজেলাকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
এ সব এলাকার রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি যাচাই-বাচাইয়ের পর চিহ্নিত ৩০টি উপজেলার ভোটার চূড়ান্ত করা হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন একথা বলেন।
চিহ্নিত প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির যাচাই-বাছাই ছাড়া এই ৩০টি উপজেলায় কেউ ভোটার হতে পারবেন না। এ সব উপজেলার মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারে ৮ উপজেলা- সদর, চকরিয়া, টেকনাফ, রামু,  পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে- সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। বান্দরবানের উপজেলাগুলো হচ্ছে- সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো হচ্ছে- বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী।
সভায় নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়টা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তারা ভোটার হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ ভোটার হলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে এবং সরকারি সব সুযোগ সুবিধার দাবিদার হচ্ছে। নজরদারির অভাবে অথবা প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আগে অনেক রোহিঙ্গাই ভোটার হয়ে গেছেন।
চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ  মো. তানভীর।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ৩০ উপজেলায় বিশেষ কমিটি ’

আপডেট সময় ০২:৪১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলার ৩০ উপজেলাকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
এ সব এলাকার রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি যাচাই-বাচাইয়ের পর চিহ্নিত ৩০টি উপজেলার ভোটার চূড়ান্ত করা হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন একথা বলেন।
চিহ্নিত প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির যাচাই-বাছাই ছাড়া এই ৩০টি উপজেলায় কেউ ভোটার হতে পারবেন না। এ সব উপজেলার মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারে ৮ উপজেলা- সদর, চকরিয়া, টেকনাফ, রামু,  পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে- সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। বান্দরবানের উপজেলাগুলো হচ্ছে- সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো হচ্ছে- বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী।
সভায় নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়টা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তারা ভোটার হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ ভোটার হলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে এবং সরকারি সব সুযোগ সুবিধার দাবিদার হচ্ছে। নজরদারির অভাবে অথবা প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আগে অনেক রোহিঙ্গাই ভোটার হয়ে গেছেন।
চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ  মো. তানভীর।