ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি’

জাতীয় ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিভক্তি চাই না। কখনও বিভক্তি করিনি। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। তাই ক্ষমতাসীন সরকারকে বলতে চাই পরস্পর কাদা ছুড়াছড়ি না করে, বিশাল এ সমস্যা মোকাবিলা করা জরুরি। এজন্য সব রাজনৈতিক দল ও পেশার মানুষকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা দরকার। রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠতে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন ও ভারত সফরে যাওয়া উচিত।
আজ রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত চীন ও ভারত সফরে ডেলিগেট পাঠানো। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী নিজেরই চীন ও ভারত সফরে যাওয়া উচিত। যাতে জনমত গঠন করে চীন ও ভারতকে বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে আসা যায়।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার মানবতার ওপর চরম আঘাত করেছে। ইউএনডিপির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ ছিল সকল রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা। কিন্তু তারা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি না করে অন্যায়ভাবে বিএনপির ত্রাণ কার্যে বাধা দিয়েছে। এতে প্রমাণ করে এই পর্যন্ত সরকারের পক্ষ ত্রাণ বিতরণ ছিল লোক দেখানো।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিএনপি ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হলেও ত্রাণ বিতরণ করতে পেরেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুধু তাই নয় সেখানে তিনি মঞ্চ বানিয়ে জনসভাও করেছেন। আমরা সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণের নিন্দা জানাই। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, কোনো অপকৌশলই তা বন্ধ করতে পারবে না।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি’

আপডেট সময় ১০:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিভক্তি চাই না। কখনও বিভক্তি করিনি। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। তাই ক্ষমতাসীন সরকারকে বলতে চাই পরস্পর কাদা ছুড়াছড়ি না করে, বিশাল এ সমস্যা মোকাবিলা করা জরুরি। এজন্য সব রাজনৈতিক দল ও পেশার মানুষকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা দরকার। রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠতে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন ও ভারত সফরে যাওয়া উচিত।
আজ রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত চীন ও ভারত সফরে ডেলিগেট পাঠানো। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী নিজেরই চীন ও ভারত সফরে যাওয়া উচিত। যাতে জনমত গঠন করে চীন ও ভারতকে বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে আসা যায়।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার মানবতার ওপর চরম আঘাত করেছে। ইউএনডিপির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ ছিল সকল রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা। কিন্তু তারা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি না করে অন্যায়ভাবে বিএনপির ত্রাণ কার্যে বাধা দিয়েছে। এতে প্রমাণ করে এই পর্যন্ত সরকারের পক্ষ ত্রাণ বিতরণ ছিল লোক দেখানো।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিএনপি ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হলেও ত্রাণ বিতরণ করতে পেরেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুধু তাই নয় সেখানে তিনি মঞ্চ বানিয়ে জনসভাও করেছেন। আমরা সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণের নিন্দা জানাই। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, কোনো অপকৌশলই তা বন্ধ করতে পারবে না।