জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার উদ্দেশে লন্ডনে গিয়ে কিংস্টন এলাকায় তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেছেন। বাংলাদেশে না ফেরা পর্যন্ত তিনি এই বাসাতেই থাকবেন।
খালেদা জিয়া রবিবার লন্ডন স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হিথ্রো বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ তে পৌঁছান। তিনি লন্ডনের উদ্দেশে শনিবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
লন্ডনে বেগম জিয়ার আগমনের খবর প্রচার হওয়ায় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ঘরানার বিপুল সংখ্যক লন্ডন প্রবাসী ভক্তরা তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় তাঁর ভক্তদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অভ্যর্থনা জানাতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেগম জিয়া বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে ভিআইপি লাউঞ্জে আসেন। সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি। পরে তারেক রহমান নিজে ড্রাইভ করে (ভি-৪ বিএনপি) প্রাইভেট নাম্বার প্লেটের একটি গাড়িতে ৪ নাম্বার টার্মিনালের কাছে হোটেল হিল্টনে নিয়ে আসেন খালেদা জিয়াকে। সেখানে দলের নেতা-কর্মীরা সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এখানে কিছু সময়ে কাটানোর পর তিনি লন্ডনের কিংস্টন এলাকায় তার ছেলে তারেক রহমানের বাসভবনে আসেন।
এখানে তার ছোট ছেলে মরহুম কোকো রহমানের স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরাও রয়েছেন। এ বিষয়ে তারেকের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম জানান, বেগম জিয়া চিকিত্সার জন্য লন্ডনে এসেছেন। তিনি প্রথমে চিকিত্সা করাবেন এবং কিছুদিন পরিবারের সদস্যদের সাথে বিশ্রামে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার লন্ডন আগমনে এখানে প্রবাসী নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দ-উত্সবের আবহ তৈরি হয়েছে। এমনকি ইউরোপসহ সকলেই তাঁর সান্নিধ্যের একটু ছোঁয়া পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন। দলের নেতা-কর্মীর বাইরে বরাবরের মতো সাধারণ প্রবাসীরাও বেগম জিয়ার লন্ডন সফরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তারাও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাক্ষাতের আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।
সায়েম জানান, আশা করা হচ্ছে বেগম জিয়া ৬ সপ্তাহ লন্ডনে থাকবেন। তিনি কোরবানির ঈদ এখানেই পরিবারের সদস্যসহ প্রবাসীদের সাথে পালন করবেন। আরো আসা করা হচ্ছে তিনি এ সময়ের মধ্যে প্রবাসীদের কাঙ্খিত বাসনা পূরণে সকলের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন এবং একটি জনসভায় যোগ দিবেন। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক সুস্থতার উপর।