লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:
লাকসামে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র্যাব। ওই ভূয়া ডাক্তার লাকসাম শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক। চাকরি দেওয়ার নামে ওই চেম্বারে অসংখ্য নারীকে সে ধর্ষণ করেছে। ভূয়া ওই ডাক্তারের নাম মীর হোসেন।
কুমিল্লা র্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে কর্মরত জোসনা (ছদ্মনাম) চার মাস যাবৎ স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই হেলথ কেয়ারের মালিক মীর হোসেন চাকরির শুরু থেকে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু তিনি চাকরি রক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে সবকিছু সহ্য করে আসছিলেন।
এক পর্যায়ে ডাঃ মীর হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। গত চার মাসে অন্তত ৩০ বারের অধিক ধর্ষণ করে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর তার শরীরে ব্যথানাশক অজ্ঞাত একটি ইনজেকশান পুশ করতো। ধর্ষণের পর মীর হোসেন তাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কেউ জানতে পারলে তাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়।
দ্ররিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার বেড়ে চলায় নিরূপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ডাঃ মীর হোসেন একইভাবে তার চেম্বারে বহু নারীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করেছে। তার হুমকির কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি। এছাড়া ভূয়া ডাঃ মীর হোসেনকে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত পডরিচালান করে তার ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার সে কৌশলে চেম্বার খুলে তার পুরনো অপকর্ম অব্যাহত রাখে।
কুমিল্লা র্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ কন্ডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। সে কোন ডাক্তার নয়। সে চাকরি দেওয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছে। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা র্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।