জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, লুটেরা, খুনীদের দলকে জনগণ কখনো ভোট দেবে না। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে তারা দেশবাসীর কাছে কোন মুখে ভোট চাইবে? তারা কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, রাজনীতি করে? তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। দেশের মানুষই তাদের ব্যালটের মাধ্যমে বর্জন করবে, ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা বেলা তিনটায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। ভিতরে ঠাঁই না হওয়ায় অনেকেই মিলনায়তনের বাইরে ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীর দায়ে যাদের বিচার হয়েছে, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে- সেসব যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, ফাঁসির কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের ছেলে-মেয়েদের সন্তানদের দলে ভিড়িয়ে রাজনীতি করে- স্বাধীনতায় বিশ্বাস করা একজন মানুষ সেই দলকে কিভাবে সমর্থ দেন? দলটির অনুগত হোন? তাদের কী বিবেকবোধ, বোধশক্তি কিছুই নেই? কোন বিবেকবান মানুষ তো তাদের সমর্থন করতে পারে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলছে, চলবেই। জনগণের ভাগ্যে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সৃষ্টি করে, দেশের জন্য ত্যাগ করে তাদের দেশের প্রতি দরদ থাকে। আর যারা ক্ষমতায় উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের সেই দরদ থাকে না। যারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে, বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত হোক তা চায়- তারা কখনোই যুদ্ধাপরাধী ও মানুষ হত্যাকারী দলকে সমর্থন করতে পারে না, ভোট দিতে পারে না। এই লুটেরার দল ক্ষমতায় থেকে দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। এদের কখনো বিবেকবান দেশের জনগণ ভোট দেবে না, দিতে পারে না।