ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শপথ নিলে পাবলিক রাস্তায় ধরে টুকরো করে ফেলতে পারে: কাদের সিদ্দিকী

জাতীয় ডেস্কঃ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, কয়েকদিন ধরে খুবই আলোচনা হচ্ছে, গণফোরামের দুই প্রার্থী সত্যিকার অর্থে গণফোরামের কি না। কেউ বলছেন, একজন গণফোরামের, আরেকজন নয়। যিনি গণফোরামের তার নাম মোকাব্বির খান। আরেকজন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, মুক্তিযুদ্ধে কোথায় ছিল জানি না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদের সময় সে আমার সহকর্মী ছিল, আমি তাকে অত্যন্ত স্নেহ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিল। তাকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে, শপথ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে। পাকিস্তান শাসনামলে বুনিয়াদি গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি কীভাবে হেনস্থা হয়েছিলেন সে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন-পাবলিক তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে তার দল আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনলেও এ ব্যাপারে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে তার দল কোনো মামলাও করবে না।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তার দলের কারও মামলা না করার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। তারা আগেই রেডি হয়ে আছে কখন কী করতে হবে। মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি অজুহাতে তারা তা খারিজ করে দেবে।

তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন কি নেবেন না এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ সরকারের এত মাথা ব্যাথা কেন। তিনি অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, কুড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আগাম তরমুজ

শপথ নিলে পাবলিক রাস্তায় ধরে টুকরো করে ফেলতে পারে: কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০২:১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, কয়েকদিন ধরে খুবই আলোচনা হচ্ছে, গণফোরামের দুই প্রার্থী সত্যিকার অর্থে গণফোরামের কি না। কেউ বলছেন, একজন গণফোরামের, আরেকজন নয়। যিনি গণফোরামের তার নাম মোকাব্বির খান। আরেকজন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, মুক্তিযুদ্ধে কোথায় ছিল জানি না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদের সময় সে আমার সহকর্মী ছিল, আমি তাকে অত্যন্ত স্নেহ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিল। তাকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে, শপথ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে। পাকিস্তান শাসনামলে বুনিয়াদি গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি কীভাবে হেনস্থা হয়েছিলেন সে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন-পাবলিক তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে তার দল আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনলেও এ ব্যাপারে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে তার দল কোনো মামলাও করবে না।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তার দলের কারও মামলা না করার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। তারা আগেই রেডি হয়ে আছে কখন কী করতে হবে। মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি অজুহাতে তারা তা খারিজ করে দেবে।

তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন কি নেবেন না এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ সরকারের এত মাথা ব্যাথা কেন। তিনি অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, কুড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ।