মুরব্বিরা বলেন, শীতের দিনে শিশুর শরীরে ভালো করে তেল মেখে রোদে ফেলে রাখো। আবার কেউ নিয়ে আসেন বিদেশি ব্র্যান্ডের বেবি লোশন বা ক্রিম। কিন্তু এই সময়ে শিশুদের ত্বকের জন্য উপকারী কোনটি—তেল, লোশন না ক্রিম?
তেল, লোশন বা ক্রিমের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য পানির পরিমাণ নিয়ে। তেলে জলীয় অংশ নেই বললেই চলে। ক্রিমে কিছুটা জলীয় অংশ আছে। তবে লোশনে বেশির ভাগটাই জলীয় অংশ। তাই আপনার শিশুর ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় কিংবা আপনি যদি চান অনেকক্ষণ ধরে ত্বককে শুষ্কতা থেকে বাঁচাতে, তবে তেলই সঠিক সমাধান। এর চেয়ে কম সময়ের জন্য হলে ক্রিম আর খুব অল্প সময় ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে লোশন। তেলে বা ক্রিমে ত্বকে পিচ্ছিল ভাব থাকে, তাই শিশুকে নিয়ে যখন কয়েক ঘণ্টার জন্য কোথাও বাইরে যাবেন, তখন লোশন লাগানোই ভালো। আবার যাদের ত্বক অতি সংবেদনশীল, তাদের জন্যও লোশন উপযোগী।
অনেকের ধারণা, তেল মালিশ করলে হাড় শক্ত হবে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে শুষ্কতা প্রতিরোধে তেল লাগাতেই পারেন। এ ক্ষেত্রে মিনারেল অয়েল নয়, উদ্ভিজ্জ তেল লাগানো উচিত। সরিষার তেল খুব ঘন বলে লোমকূপ বন্ধ করে দিয়ে ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, তাই অলিভ অয়েল হতে পারে ভালো সমাধান। অবশ্য যেকোনো তেল দিলেই ত্বক আঠালো হয়ে যায়, এতে সহজেই ধূলিকণা জমে। তাই বাইরে গেলে তেল লাগানো উচিত নয়। তেল লাগানোর ভালো সময় হচ্ছে গোসলের পর। এ সময় ত্বকে সবচেয়ে বেশি জলীয় অংশ থাকে। আর এই জলীয় অংশকে অনেকক্ষণ ধরে রাখে তেল। অন্য সময়ের জন্য ক্রিম সবচেয়ে ভালো। এতে তেলচিটচিটে ভাব নেই আর মোটামুটি অনেকটা সময় ধরেই এটি কার্যকর।
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ছোট শিশুদের নতুন গজানো দাঁতও কি ব্রাশ করতে হবে?
উত্তর: নতুন যেসব দাঁত গজায়, তারও যত্ন জরুরি। ব্রাশ নয়, বরং একটি নরম ও পরিষ্কার কাপড় বা ফ্লানেল দিয়ে নিয়মিত এই দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। শিশু একটু বড় হওয়ার পর তাকে ব্রাশ করতে শেখানো উচিত। শিশুদের জন্য আলাদা ধরনের টুথপেস্ট পাওয়া যায়, যা গিলে ফেললেও সমস্যা হয় না।
অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী
দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
শিশুদের অতি অমনোযোগ বা এডিএইচডির চিকিৎসা কি তাদের ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়?
আমি গত রাতে এক পলকও ঘুমাতে পারিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কার এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক কর্মকাণ্ড চাঙা করার চিকিৎসা শিশুর ঘুম আসার ক্ষেত্রে সমস্যা করতে পারে। এ ছাড়া ঘুম গভীর না হওয়া বা স্বল্প সময়েই ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়