ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে নবজাতকের যত্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

নবজাতকের যত্ন নিয়ে কম-বেশি সবাই চিন্তিত থাকেন। আর শীতকালে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জন্মের পর প্রথম আটাশ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশুর জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগতে পারে। আর শীতে এই সমস্যাগুলো হতে পারে প্রকট। তাই শীতে প্রয়োজন নবজাতকের বাড়তি যত্ন। আর তারই অংশ হিসেবে শিশুকে জন্মের পরপরই মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। মায়ের বুকের দুধ রোগপ্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি-সম্পন্ন হওয়ায় শিশুর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

নবজাতক শিশুকে যতটা সম্ভব মায়ের শরীরের কাছাকাছি রাখতে হবে। এতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা তৈরি হবে। নবজাতকের শরীর দ্রুত তাপমাত্রা হারাতে পারে। আর তাই দেহ উষ্ণ রাখা খুব জরুরি। নবজাতকের কাপড় হতে হবে ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক। এক্ষেত্রে সুতির কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

নবজাতকের গোসলের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত প্রথম সাত দিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। জন্মের সাত দিন পর থেকে একদিন পরপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত। গোসলের পরপরই সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতকালে গোসলের সময় কমিয়ে দ্রুত গোসল শেষ করতে হবে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক যেন শুষ্ক হয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই দিনে দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুর চুলের যত্নে এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করাই যথেষ্ট। এতে খুশকি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অনেকেই শিশুর ত্বকের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকেন, যা শিশুর নমনীয় ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

শীতে নবজাতকের যত্ন

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

নবজাতকের যত্ন নিয়ে কম-বেশি সবাই চিন্তিত থাকেন। আর শীতকালে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জন্মের পর প্রথম আটাশ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশুর জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগতে পারে। আর শীতে এই সমস্যাগুলো হতে পারে প্রকট। তাই শীতে প্রয়োজন নবজাতকের বাড়তি যত্ন। আর তারই অংশ হিসেবে শিশুকে জন্মের পরপরই মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। মায়ের বুকের দুধ রোগপ্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি-সম্পন্ন হওয়ায় শিশুর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

নবজাতক শিশুকে যতটা সম্ভব মায়ের শরীরের কাছাকাছি রাখতে হবে। এতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা তৈরি হবে। নবজাতকের শরীর দ্রুত তাপমাত্রা হারাতে পারে। আর তাই দেহ উষ্ণ রাখা খুব জরুরি। নবজাতকের কাপড় হতে হবে ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক। এক্ষেত্রে সুতির কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

নবজাতকের গোসলের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত প্রথম সাত দিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। জন্মের সাত দিন পর থেকে একদিন পরপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত। গোসলের পরপরই সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতকালে গোসলের সময় কমিয়ে দ্রুত গোসল শেষ করতে হবে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক যেন শুষ্ক হয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই দিনে দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুর চুলের যত্নে এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করাই যথেষ্ট। এতে খুশকি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অনেকেই শিশুর ত্বকের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকেন, যা শিশুর নমনীয় ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ